বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সর্বোত্তম: মজিনা

ড্যান ডবিস্নউ মজিনাবিনিয়োগের জন্য বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশই সর্বোত্তম দেশ। যদি দুর্নীতি দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের কোনো অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিস্নউ মজিনা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মাইনুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আঙগুর নাহার মন্টি প্রমুখ।
মজিনা বলেন, উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে তার সমাধানও আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশেকে গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, নিরাপদ, শান্তিময় দেশ হিসেবে দেখতে চায়। কারণ এটা দক্ষিণ এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের জন্য ভালো।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চ্যালেঞ্জগুলো হলো- জ্বালানি সঙ্কট, যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। এগুলো সব সমাধানযোগ্য।
মজিনা বলেন, দুর্নীতি দমন করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। জ্বালানি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ থেকে আমদানি করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এমন কোনো খাত নেই যে খাতে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে না। তাই বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশই বিনিয়োগের সর্বোত্তম স্থান।
বাংলাদেশের লোক প্রচ- রাজনৈতিক সচেতন। এ দেশের মানুষের ডিএনএর মধ্যে রাজনীতি রয়েছে। আমি ৬৪টি জেলায় ঘুরেছি। মানুষের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলেছি বলেও জানান মজিনা।
মজিনা বলেন, ১৫ বছর আগের চেয়ে এখন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার জন্য এখন কোনো শিশু মারা যায় না। হাসপাতালগুলো খালি দেখা যায়। যা স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের চিত্র।
তিনি বলেন, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও স্বাধীনতাকামী দেশগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ঈদুল আজহার পর বিএনপির বৃহৎ আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাজনীতির বিষয়টি এ দেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে।
জিএসপি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, আসলে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। এটা করলেই জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া যাবে।