মাতারবাড়ীতে ভিড়ল ৬৪৭৭০ টন কয়লাবাহী জাহাজ

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ৬৪ হাজার ৭৭০ টন কয়লা নিয়ে বিশালাকার একটি জাহাজ ভিড়েছে। এটি দেশের কোনো বন্দরে ভেড়া এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর একটি।

পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি জিসিএল পারাডিপ’ নামের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে ছেড়ে এসে বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে।

কয়লা নিয়ে আসা জাহাজটি লম্বায় ২২৯ দশমিক ৯৯ মিটার। এর আগেও গত মাসে একই পরিমাপের জাহাজ মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে এসেছিল।

নতুন নিয়ে আসা কয়লা মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরুর পর থেকে এটি কয়লা নিয়ে আসা পঞ্চম জাহাজ।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথমবার ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে ২৫ এপ্রিল জেটিতে ভিড়ে এমভি অউসো মারো। এর পরের মাসে কয়লা নিয়ে একে একে আরও চারটি জাহাজ ভিড়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে।

এ বিষয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী বলেন, ‘বুধবার সকালে কয়লাবাহী জাহাজটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে। এটা কয়লা নিয়ে ভেড়া চতুর্থ বড় জাহাজ, তবে এর চেয়ে বড় কোনো জাহাজ এখনো ভিড়েনি। শুরুতে ২৫ এপ্রিল বড় একটি জাহাজ আসে। এর পরের মাসে আরও চারটি জাহাজ কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ী আসে।’

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে মাতারবাড়ীতে তৈরি হয়েছে দেশের সবচেয়ে গভীর কৃত্রিম নৌপথ। একের পর এক বড় জাহাজ ভেড়ানোর মাধ্যমে এই নৌপথের সুবিধা পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।

নতুন উৎপাদনে যাওয়া মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি জেটির একটিতে কয়লা খালাস করা হয়। ৩০০ মিটার লম্বা এ জেটিতেই বড় জাহাজগুলো ভিড়ছে৷ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য জেটিটি ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের। এটি তেল খালাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।