সফল মৎস চাষী তৌহিদ চাকলাদার

বিশাল জলাধারে অথৈ পানি। শীতের সকালে এমন পানিতে নামতে অনেকের ভয় লাগতে পারে। কিন্তু ওদের গায়ে যেন শীতের বালাই নেই। মুখে শীতের কাঁপুনিও ছিল না। বরং শীতের মিষ্টি রোদের সাথে মুখে ছিল মিষ্টি মিষ্টি হাসি। জালে এমন বড় বড় মাছ উঠলে মুখে হাসির ফোয়ারা ফোটে সেটাই জানান দিচ্ছিল সেদিন। বলছিলাম যশোরের উপকন্ঠে উপশহরের ‘ভৈরব মৎস্য খামার’র কথা। গেল বুধবারের সকালে এ দৃশ্য ছিল বেশ উপভোগের।
যশোর শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মো. তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তিনি একজন সফল মাছ চাষি। গত কয়েক বছর ধরে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পেয়েছেন সফলতা। ভৈরব মৎস্য খামার প্রকল্পে একে একে গড়ে তুলেছেন ৪টি মাছ খামার। যশোরের উপকন্ঠে উপশহরে রয়েছে তার একটি মাছের খামার। বুধবার সেখানে তিনি জেলেদের সাথে মাছ ধরছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মালিক হলেও প্রায় সময় জেলেদের সাথে মাছের খামারে কাজ করেন। এতে তিনি আনন্দিত হন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু জানান, ‘ভৈরব মৎস্য খামার’ প্রকল্পের আওতায় তার চারটি মাছের খামার রয়েছে। যশোরের উপকন্ঠ উপশহরে, সদরের চাঁচড়া ও বলরামপুরে রয়েছে তিনটি খামার। আর ঝিকরগাছার শিমুলিয়ায় রয়েছে আরও একটি মাছের ঘের। যেখানে তিনি মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ করেন। তার খামারে রয়েছে রুই, কাতলা, ব্লার্ক কার্পসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ। আছে সিলভার কার্প, কমন কার্প, গ্রাস কার্প, পাঙ্গাস ইত্যাদি মাছ। তিনি বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে যশোরে মাছ চাষ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলার ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। এ জেলার চাহিদার বেশি মাছ চাষ হওয়ায় এখানে অপেক্ষাকৃত গরীব মানুষ কম দামে প্রয়োজনীয় মাছ ক্রয় করতে পারেন। এরমাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মিটছে।
তবে শুধু নিজেরাই স্বাবলম্বী হননি পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন আরও স্থানীয় ২০ বেকার যুবকের। আগামীতে তিনি আরও বড় পরিসরে মাছ চাষ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।