‘রঙ ও রেখায়’ অন্যরকম সাফল্য বাংলাদেশের

এ যেন অন্যরকম বাংলাদেশের চিত্র। প্রতিটি ক্যানভাসে রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন হয়ে উঠেছে। কেউ আঁকলেন পদ্মা সেতু, কেউবা গ্রামের উন্নয়ন, কেউবা ক্যানভাসে ছড়িয়ে দিলেন শুধুই রঙ। কারো ক্যানভাসে ফুটে উঠছে নারী, শিশু, শাপলার বিল, ফসলের মাঠ, সবুজ বিল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাটে শুরু হয়েছে ওই রঙ ও রেখার খেলা। এ আর্টক্যাম্পে রঙের সমারোহে ১০০ চারুশিল্পী তাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন বাংলাদেশের সাফল্যের অন্যরকম চিত্র।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া চারুশিল্পীদের স্বপ্রণোদিত ও স্বতঃস্ফ‚র্ত উদ্যোগটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

কথা হয় ‘রঙ ও রেখায় বাংলাদেশের সাফল্য’ শীর্ষক আর্টক্যাম্পের সমন্বয়ক মো. আফি আজাদ, গোলাম দস্তগীর, আতিকুর রহমান ও হিমীকা’র সঙ্গে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শিল্পীদের নিজ উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজন সত্যিই অনন্য। এ শিল্পগুলো দেশের উন্নয়নে সরকারকে যেমন অনুপ্রেরণা জোগাবে, তেমনি তা শিল্প অঙ্গনেও পালন করবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

আয়োজকরা জানান, এ কর্মশালার মধ্য দিয়ে আমরা চারুশিল্পীরা সরকারের বিগত নয় বছরের সাফল্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এ ছবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে হস্তান্তর করা হবে। আফি আজাদ বলেন, আমরা সবাই সরকারের প্রতিটি সাফল্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই খুব কম। যেহেতু আমরা শুধু রঙ তুলির মানুষ, তাই এ আয়োজনের মধ্য দিয়েই আমরা চেষ্টা করছি সরকারের প্রতি একটু হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার।

নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নয়, ক্যানভাসে শুধু রং ছড়িয়ে তাকে আরো রঙিন করছিলেন চারুশিল্পী রাশিদা আক্তার। তিনি বলেন, প্রতিটি সফলতাই নানান রঙে রঙিন। সে সূত্রেই আমার ক্যানভাসে এতো রঙ। নির্দিষ্ট করে কোনো বিষয় এখনো ভাবা হয়নি, তবে আমাদের রঙিন সাফল্যগুলোই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছে আছে।