মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করছে মোহাম্মাদ আলীর ঘরটি

গৌরনদী উপজেলার সাহজিরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর বসতঘরটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি তার বসতঘর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে দীর্ঘ চার মাস ঘরটি ব্যবহার করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর হোসেনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ওই ঘরে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অবস্থান করে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারেক হোসেন মাস্টার জানান, ১৯৭১ সালে এলাকায় আমাদের ক্যাম্প ছিল না। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর কাছে আমাদের সমস্যার কথা জানালে তিনি স্বেচ্ছায় তার বসতঘরটি ছেড়ে দেন এবং আমাদের খাদ্যের যোগানসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন। সাহজিরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুলতান সরদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, তৈয়বুর রহমান, আ. সাত্তার সরদার, নূর মোহাম্মাদ সরদার(সাবেক ইউপি সদস্য), মালেক কবিরাজ, আ. মজিদ হাওলাদার, আগরপুরের নাগর মিয়া ও আমিসহ ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ওই ঘরে আশ্রয় নেই। আমরা ট্রেনিং গ্রহণ করেছিলাম বাবুগঞ্জের আগরপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। সেখানে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন (অব.)সুবেদর মেজর আফসার উদ্দিন ও সিপাহী মোতাহার হোসেন। চার মাস আমরা খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর বসতঘরে অবস্থান করে বিভিন্ন এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেই।

মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টরের বরিশাল অঞ্চলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও সাকোকাঠি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন(অব.) আ. হক বীর বিক্রম বলেন, ঐতিহাসিক ঘরটি আজও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে।

মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক প্রয়াত খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর বড় ছেলে খন্দকার শাহেআলম মঞ্জু বলেন, আমার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতা এ স্বীকৃতিটুকু চাই, আর কিছু চাই না।