রিজার্ভ ছাড়াল ২৯ বিলিয়ন ডলার

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও নতুন উচ্চতায়। গতকাল প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দুই লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা দিয়ে দেশের আট মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস হওয়ায় দেশে আমদানির পরিমাণ কমায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। এরপরে ৫ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। ফিলিপাইনের হ্যাকাররা এই অর্থ চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়ার পরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। যার প্রভাবে মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের ৯০ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গিয়েছিল। এরপরে আমদানি বিল তুলনামূলক কম হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্য পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি বাবদ খরচ কম হচ্ছে। আবার চলতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।