কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভে চালু হলো ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস

ইউরোপ-আমেরিকার মতো এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। এর জন্য দুটি ট্যুরিস্ট বাস চালু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বুধবার ট্যুরিষ্ট বাসের চলাচল উদ্বোধন করা হয়। এই দুটি বাস চলবে কক্সবাজারের পর্যটন জোন থেকে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে। এই বাস দুটিভাগে ভাগ করা হয়েছে একটি আপার ডেক যেটি ভাড়া ধরা হয়েছে ৭শত টাকা আরেকটি লোয়ার ডেক তার ভাড়া ধরা হয়েছে ৬শত টাকা । কলাতলীর ৩টি পয়েন্ট থেকে এই বাসের টিকেট পাওয়া যাবে । তা হলো লাবণী পয়েন্ট , সুগন্ধা পয়েন্ট, ও কলাতলী পয়েন্ট।এই বাস সম্পূর্ন একদিনের আপ ডাউন প্যাকেজ হিসাবে চলবে । যে টাকায় টিকেট করবেন পর্যটকগণ তা দিয়ে পুরোদিন ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন এবং জেলার দর্শণীয় স্থান লাবণী- দরিয়া নগর- হিমছড়ি-ইনানী- পাটুয়ারটেক- সাবরাং ঘুরিয়ে দেখানো হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ছাড়া হবে এই ট্যুরিস্ট বাস।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন রাজধানী। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করতে প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই এবার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করতে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বাসের। আজ সকালে লাল-সবুজ রঙের দুটি ছাদখোলা বাস জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাস দুটির গায়ে বিআরটিসি লেখা রয়েছে এবং একটি বাসে কক্সবাজারের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর স্টিকার লাগানোর পাশাপাশি ট্যুরিস্ট বাস লেখা রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দুটি ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস লিজ নিয়েছে। এখন থেকে এই ট্যুরিস্ট বাসগুলো কক্সবাজারে চলাচল করবে। বাস দুটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে। এই বাস মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক পর্যন্ত চলাচল করবে। দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভে যেসব পর্যটন স্পট রয়েছে সেখানে থামবে এবং পর্যটকদের তা ঘুরে দেখানো হবে।একটি বাসে ৫৬জন আরেকটিতে ৭৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাসগুলোতে থাকছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। আশা করি, পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই ট্যুরিস্ট বাস।

Views: 27