বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মুজিব কন্যা হিসেবে আমার জন্য দিনটি সম্মানের - প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

রোববার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান এই ডিগ্রি দেন।

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ডিগ্রি গ্রহণ করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

এর আগে জাতীয় সংগীত ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুকে চিত্রিত করে সংগীত, নৃত্য ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন, আজ তাকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করে যে সম্মাননা জানানো হয়েছে, এজন্য কৃতজ্ঞতা। আজ মুজিব কন্যা হিসেবে আমার জন্য দিনটি সম্মানের।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদানের জন্য এই বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সমাবর্তনের প্রধান বক্তা বঙ্গবন্ধু কন্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এই ডক্টর অব লজ ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

পরে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৫২, ৫৪, ছয়দফা, সব আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির মুক্তি।‌ এই আন্দোলন করতে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলনে অনেকেই জরিমানা দিয়ে ছাতত্ব বহাল রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু তা করেননি। আমার দাদা আমার বাবাকে ব্যারিস্টারি পড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু আন্দোলন রেখে বাবা যাননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা যাবে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।‌ সবকিছু দিয়েই বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। আমাদের দেশটা জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নত দেশ হবে এটিই আমরা চাই। বিজয়ী জাতি হারতে জানে না।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল,  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।