নিচে পদ্মাসেতু, ওপরে মেট্রোরেল। পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে মেট্রোরেলে চড়েই দেবী দুর্গার দর্শন করতে যাচ্ছেন ভক্তরা।
মহেশ্বরকাটি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাঙ্গ মণ্ডল জানান, তারা প্রতিবছরই নতুন আঙ্গিকে মণ্ডপ সাজানোর চেষ্টা করেন। এজন্য এবার পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলের আদলে মন্দিরে প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
তিনি বলেন, টানা দুই মাস ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে হিমখালি খালের ওপর তৈরি করেছে এই মেট্রোরেল ও সেতু। শারদীয় দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের মাঝে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতেই এমন আয়োজন করেছেন তারা।
উৎসুক দর্শনার্থীরা এমন ব্যতিক্রম আয়োজন দেখে আনন্দও পাচ্ছেন বেশ। এই মেট্রোরেল দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসছেন প্রতিদিন।
মহেশ্বরকাটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসা সাতক্ষীরা শহরের বসু দাস বলেন, দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। পূজা এলে আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরি। এ বছর মহেশ্বরকাটির আয়োজন সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
কালিগঞ্জ থেকে আসা দর্শনার্থী অজিত সরদার বলেন, দুর্গাপূজা এলে সনাতনদের মধ্যে মণ্ডপ সাজানোর প্রতিযোগিতা চলে। সেইসঙ্গে দর্শনার্থী ও ভক্তরাও ঘুরে বেড়ান এ-মণ্ডপ থেকে ও-মণ্ডপ। এবার মহেশ্বরকাটির দুর্গামণ্ডপ জেলার মধ্যে অন্যতম বলা যায়। পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল এখন মানুষের মুখে মুখে। যা দেখতে সবাই মহেশ্বরকাটি আসছেন।