২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত রপ্তানি পরিসংখ্যান হালনাগাদ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থা। সর্বশেষ সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে গতকাল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রথম প্রান্তিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
ইপিবির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থমূল্য বিবেচনায় গত অর্থবছর বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য ছিল তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় বৃহৎ খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তৃতীয় বড় খাত কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। হোম টেক্সটাইলেরও ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ রফতানি কমেছে। এ পাঁচ পণ্যই ছিল মোট রফতানির ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থমূল্যে ১ হাজার ২৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
গতকাল ইপিবি প্রকাশিত প্রতিবেদনে একক মাসভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে ৪৩১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছেন বাংলাদেশের রফতানিকারকরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। এ হিসাবে গত মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
অর্থমূল্য বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি হয়েছে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ অর্থমূল্যের কম পণ্য। তবে লক্ষ্যপূরণ না হলেও আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি অর্থের পণ্য রফতানি হয়েছে।