ব্রিকসের আলোচনা এখন অনেকটা বাসি। ব্রিকস থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে মাতামাতিও আপাতত তামাদির খাতায়। তবে ব্রিকসের অসিলায় প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও চীন-রাশিয়াসহ বিভিন্ন বন্ধুরাষ্ট্রের বাংলাদেশের প্রতি মন-মর্জির নমুনার একটি আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটেছে। সেই বিশ্লেষণের মধ্যেই রাজনীতি-কূটনীতির বাজারে আলোচনার টেবিলে এখন জি-২০ সম্মেলন। যেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্তির বিষয়টি বেশ প্রাসঙ্গিক। তা শুধু জি-২০-এর কারণে নয়, ভেন্যু ভারতের কারণে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকসহ আরও নানা কারণেও। কিন্তু এবারের জি-২০ সামিটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং না আসায় তা অনেকটা পানসে হয়ে গেছে। সেখানে প্রেস্টিজ ইস্যু ভারতের, নরেন্দ্র মোদির। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানসহ পাশের কেউ দাওয়াত না পেলেও বাংলাদেশ পেয়েছে, যা আমাদের জন্য অবশ্যই প্রাপ্তির। সম্মেলনটির উদ্দেশ্যে শুক্রবার বিকেলে দিল্লি পৌঁছে সন্ধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে, যা বাংলাদেশের জন্য সামিটে যোগদানের চেয়েও কম গুরুত্বের নয়। এর এক দিন আগে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরে আসা মোটাদাগের আরেক ঘটনা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ান সম্মেলন থেকে সরাসরি ঢাকা আসেন তিনি। নানান কথার মধ্যে তিনি বলেই ফেলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের নামে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে দেশটি চীন-রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এও বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করে বহিরাগতরা যাতে অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে জন্য সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার সহযোগিতা থাকবে। ঢাকায় অবস্থানের পুরোটা সময় বড় ব্যস্ততায় কেটেছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে। চলে ঘণ্টাব্যাপী। এরপর সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, সময়মতোই রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থ পরিশোধে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য দ্রুতই দেশীয় মুদ্রায় লেনদেনের ব্যবস্থা করা হবে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ চায় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে, সেটি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। পরদিন শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ল্যাভরভ যাত্রা করেন দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে। জি-২০ এখন পর্যন্ত উপলক্ষ, লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য বিস্তর। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং পশ্চিমা বিশ্ব একের পর পর চাপে-তাপে পেয়ে বসেছে বাংলাদেশকে। তাদের যাতায়াত ও বক্তব্য-বিবৃতির ধুম বয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবও মেহমান হয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়া কার কী ভূমিকা কী হবে—এখনো পরিষ্কার নয়। নির্বাচন ঘিরে দুপক্ষে উত্তেজনা, হুমকিধমকি থাকলেও বড় রকমের সহিংসতা এখনো হয়নি। সামনে লক্ষণ কিন্তু সহিংসতার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নিলে নির্বাচন বর্জনের হুমকির পাশাপাশি নির্বাচন হতে না দেওয়ার হুঙ্কারও আছে। এখন পর্যন্ত বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি অচলাবস্থায় আটকে গেলে সামনের দিনগুলোতে তা পাল্টে যেতে পারে। তখন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূমিকা কেমন হবে—এ নিয়ে প্রশ্ন আছে, জবাব নেই।
চীনের সঙ্গে একসময় বিএনপির উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। আওয়ামী লীগের সময়ে বাংলাদেশে পদচিহ্ন সম্প্রসারণ করেছে চীন। তারা এখন দৃঢ়ভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করছে। বহু বিবৃতিতে তারা তাদের এ অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। সেখানে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে, বিএনপির সঙ্গে চীনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলা হলেও দলটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে চীনের তুলনায় দৃঢ় সমর্থন পাচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বিএনপি বোঝানোর চেষ্টা করছে, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা না গেলেও তাদের প্রভাব কমিয়ে আনা হবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে সেভাবে ভারতীয় বিবৃতি আসছে না। বর্তমান অচলাবস্থার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থানও দেখা যাচ্ছে না ভারতকে। এর অর্থ এই নয় যে, ভারত নীরবতা রক্ষা করে চলেছে। বিশ্বব্যাপী জোটবদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্যতা-টানাপোড়েন-ক্ষমতায়নের মোড়কে সৃষ্ট নতুন বৈশ্বিক মেরূকরণ দৃশ্যমান। প্রভাব বলয়, আস্থা, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সন্দেহের নবতর অধ্যায় নির্মিত হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাককরমিক বাংলাদেশ সফরে এসে মন্ত্রী-এমপি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যে আলোচনা করেছেন, সেখানে ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গুরুত্ব পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ঢাকায় গণতান্ত্রিক সরকার সমুন্নত থাকুক। ওয়াশিংটনের অবস্থান বিশ্বের পশ্চিমপ্রান্তে হলেও তারা পূর্বপ্রান্তের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোতে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র দেখতে চায়। মূলত বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে চীনকে মোকাবিলা করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন নীতিগত আচরণ। বাংলাদেশকেও শতভাগ পাশে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন ইত্যাদি উপলক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের অবিরাম ঢাকা সফরের লক্ষ্য ভূরাজনীতিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বিশেষ করে চীনকে ঠেকানো। তাহলে ভারত কী করবে? এরকম সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে এ প্রশ্নের কিছু জবাব নিশ্চিত করবে।
বিশ্ব অর্থনীতি-রাজনীতিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একধরনের স্নায়ুযুদ্ধ চলমান। ভবিষ্যতে চীন পুরো বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নড়বড়ে করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেটা করতে গেলে তাকে মিতালি বাড়াতে হবে ছোটখাটো দেশের সঙ্গেও। যুক্তরাষ্ট্রের মূল মিত্ররাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ঠিক সেভাবেই এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার অপেক্ষাকৃত গরিব ও কম শক্তিশালী দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়ে চীন তার নিজের শিবিরে টানতে চায়। টানাটানির এ রশ্মি হিসেবে চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে, যা ২০৪৯ সালে শেষ হবে। এ প্রকল্পের সঙ্গে এরই মধ্যে পৃথিবীর অন্তত ৬৮টি দেশ যুক্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত নিগূঢ় বন্ধনে আবদ্ধ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল। ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অধিক শক্তিশালী হলেও ভারত ও চীন উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক-সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক। আঞ্চলিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থ বরাবরই ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করা, চীনের দেওয়া ঋণের সুদহার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী এখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। মানবসভ্যতার অস্তিত্ব পৃথিবীতে আর কতদিন অক্ষুণ্ন থাকবে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বোদ্ধা মানুষ শঙ্কিত ও চিন্তিত। গৃহযুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান আর সশস্ত্র ধর্মীয় উগ্রবাদের কবলে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার অবস্থা গুরুতর। সেখানে চীন-রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ভূতপূর্ব ঔপনিবেশিক দেশগুলোর মধ্যে চলমান শীতল যুদ্ধ ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছে। দক্ষিণ আমেরিকার দুই বৃহৎ দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ব্রিকসের সদস্য। বিশ্বের চলমান উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ২২ থেকে ২৪ আগস্টে অনুষ্ঠিত ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া ছিল খুবই সরব। শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকসহ অন্যান্য নেতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন। এটি বৈশ্বিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি আর বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় মর্যাদার বিষয়। কিন্তু সদস্যপদ দিয়ে সম্মানিত করেনি। নীতি-ন্যায্যতা, ভালো-মন্দ আর বাস্তবতার সমন্বয় ও সংমিশ্রণ যে কোনো সিদ্ধান্তের জন্য অপরিহার্য উপাদান। যার জের বা অবশিষ্ট এখন জি-২০-তে। ব্রিকসের নতুন সদস্য নিয়ে সাতটি দেশসহ সব ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ জি-২০-এরও সদস্য। ১৯৯৯ সালে গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের বড় কোনো সমস্যা সমাধানে কার্যকর তেমন কিছু করতে না পারলেও জি-২০-এর প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের কূটনীতির জের ও বেদনার মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে জি-২০ সম্মেলন। এতেও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ। চলমান স্নায়ুচাপগ্রস্ত বিশ্বে বিভিন্ন দেশ যে যাকে যেভাবে পারছে নিজের বুঝমতো শিকার ধরছে। ফাঁকতালে লাভ খুঁজতে গিয়ে দরকারি মনে করলে কাছে টানছে, নইলে দূরে সরছে। সাইডলাইন খুঁজছে। ভূরাজনীতি ও প্রতিবেশী দেশে ভেন্যু হওয়ায় বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি ও প্রাপ্তিও এখানে বেশ প্রাসঙ্গিক।
লেখক : মোস্তফা কামাল, ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন