বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষি

ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প

কুড়িগ্রাম অঞ্চলে কখনো বন্যা, কখনো খরা, পিছু ছাড়ে না। সেই সঙ্গে রয়েছে ভাঙন। জীবন সংগ্রাম করেই চলতে হয় এ অঞ্চলের মানুষদের। তবে চরের কৃষকদের আরও দুর্ভোগ বেশি। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে হয় তাদের। বন্যা ফসল কেড়ে নিলেও খড়ার সময়ও বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলের কৃষক।

চরের কৃষকরা ডিজেল চালিত সেচ এর ওপর ছিল নির্ভরশীল। সেই চরাঞ্চলে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে নিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প। ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পে কমছে খরচ সঙ্গে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে ফুটিয়েছে হাসি।

জানা গেছে, সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে সেচ পাম্প, সেটিও আবার ভ্রাম্যমাণ। এই ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পটি সুবিধামতো স্থানে স্থাপন করে সেচ দেওয়া যায়, নেই জ্বালানির ঝামেলা। এই সুবিধায় বদলে যাচ্ছে দুর্গম চরাঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য। তাদের মুখে ফুটেছে অনাবিল হাসি। এই পদ্ধতিতে কোনো জ্বালানি খরচ না হওয়ায় চরের অনাবাদি জমিগুলো ভরে উঠেছে সবুজ ফসলে।

কৃষক আইয়ুব আলী, জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ইরি ধান লাগাতে পানির জন্য সমস্যা হতো। খরচ বেশি হতো, ছিল জ্বালানি তেলের সমস্যা। এখন এমন সুযোগ পেলাম, তেলের ঝামেলা নেই, জমিতে আসি সোলার পাম্প পানি দেয়। এ ছাড়াও খরচ খুবই কম।

সোলার স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আদর্শ কৃষক মাহফুজার রহমান জানান, খুবই অল্প খরচে কৃষকরা সেচের সুবিধা পেয়ে সুফল ভোগ করছে। তিনি আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদনে যেখানে খরচ হতো আট থেকে ৯ হাজার টাকা। এখন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হলেই হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, সোলার পাম্প বড় উপকারে আসছে কৃষকের, এ ছাড়াও এটি ভ্রাম্যমাণ হওয়ায় কৃষকরা আরও বেশি সুফল পাবে।