স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নৈশভোজ শুরুর আগে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এসময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আমি সম্মানিত। ২০২১ সালের নভেম্বরে আমি আপনাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং আপনি আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। ফ্রান্স আমাদের হৃদয়ে এবং ভাবনায় বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের পার্টনারশিপ বিভিন্ন সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, আমরা আপনার জন্য বিশেষ কাচ্চি বিরিয়ানির আয়োজন করেছি, যেটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতি একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপনার জন্য আরেকটি বিশেষ জুস তৈরি করা হয়েছে, যেটি আমাদের স্থানীয় ফল আমড়া দিয়ে তৈরি।
এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপতির যাত্রা।
সোমবার সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।