সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাসিক চাঁদা গ্রাহকরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে শতকরা ৭০ পয়সা দিতে হবে। কোনো গ্রাহক স্কিমের ১ হাজার টাকা জমা দিলে চার্জ দিতে হবে ৭ টাকা। অর্থাৎ চাঁদার ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডারের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে। সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর জন্য সব এমএফএস প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অভিন্ন সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করে।
পরিপত্রে বলা হয়, দেশের মানুষকে টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গ্রাহকরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে যে কোনো একটি পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্য কার্যক্রমগুলোর নগদ অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে বিতরণে ক্যাশ আউট চার্জ শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। সর্বজনীন পেনশন স্কিমও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ। এ পেনশন স্কিমে পারসন টু গর্ভমেন্ট (পি টু জি) পদ্ধতিতে এমএফএসের মাধ্যমে চাঁদা দিলে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে চাঁদা পরিশোধের পর এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমএস পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।
শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন- প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি।
এক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা, আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।