প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। রোববার (২০ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সড়ক দুঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার ৫ লাখ টাকা ও অঙ্গহানি হওয়া প্রত্যেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন ৩ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০ অক্টোবর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে এদিন বিকাল ৩টায় পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশ করা হবে। ২২ অক্টোবর তেজগাঁওস্থ নবনির্মিত সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি একদিনে ১৪০টি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করা হবে ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন ফাইভ নর্দান রুটের গ্রাউন্ডব্রেকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন। এ উপলক্ষ্যে সাভারে সুধী সমাবেশ করা হবে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন। এ উপলক্ষ্যে পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের বড় দেশগুলোর মাথাব্যথা। এ বছর ২০-২২টি দেশে নির্বাচন। এ নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই। আসল জায়গায় পারে না। নাইজারে কি করে- আমরা তা দেখব।
তিনি বলেন, বিএনপি যেসব দাবিতে গো ধরে আছে- সেসব দাবি নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতও এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করব। এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সংবিধান আছে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। সংবাদ সম্মেলনে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু সচিব মনজুর হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।