পরিত্যক্ত স্থাপনাকে বাসযোগ্য করতে কাজ করছে গণপূর্ত

পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনাকে বাসযোগ্য স্থাপনায় রূপান্তর করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কটের ক্ষেত্রে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় অনেকগুলো পুরনো বাড়িকে বাসযোগ্য করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি সরকারের কাজের ব্যবহার উপযোগী করছে এই অধিদপ্তর।

এ বছরের শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে তাদের আধুনিক রাজস্ব ভবন বুঝে নিয়েছে। শামীম আখতারের সময়কালে সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করে জনসাধারণের জন্য খুলেও দেওয়া দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত বহুতল ভবন বিজয়-৭১ হস্তান্তর করা হয়েছে এ বছরেই।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আজিমপুর জাজেস কমপ্লেক্সে বিচারকদের জন্য ৯০টি, তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৬টি ১৩ তলা ভবনের ২৮৮টি, নোয়াখালীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯টি ১০ তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির ছন্দপতন ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের বাজারে সরকারি প্রকল্পের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেলেও গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী সামাল দিয়েছেন সিদ্ধহস্তে।

মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে শামীম আখতার বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আমরা মসজিদের বহুমুখী ব্যবহার দেখছি মুসলিম রেনেসাঁর কালে। প্রধানমন্ত্রী নিজের চিন্তায় জাতিকে সেই রেনেসাঁকাল ফিরিয়ে দিয়েছেন। মডেল মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। সমাজ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর এমন নেক কর্মের সঙ্গে যুক্ত থেকে গণপূর্তের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন।

অফিসার্স ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, মূল নকশা থেকে শুরু করে প্রকল্প মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন নকশায় ভবনের মোট আয়তন বাড়বে ২,০০,০০০ বর্গফুট প্রায়।

প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নির্মাণ ব্যয় বাড়া নিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে, তা অনুমোদনও করেছে মন্ত্রণালয়। দেশের প্রথম সারির কর্মকর্তা, আমলাসহ সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অফিসার্স ক্লাব; এমন একটা স্থাপনা হবে, যা ৫০/১০০ বছর পরে গিয়েও সময়োপযোগী মনে হবে।