পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে এখন উন্নয়নের হাওয়া বইছে। বদলে গেছে প্রতিটি সড়কের চিত্র। পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী ও বাঙালিদের জীবন হয়েছে আরও সহজ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সূচকে এসেছে আমূল পরিবর্তন। বেড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। পর্যটনকে ঘিরে অর্থনীতির চাকাও হয়েছে আরও বেশি সচল। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে রামগড় স্থলবন্দর। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মেলবন্ধনকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। নির্মাণ হচ্ছে সীমান্ত সড়ক, যা পার্বত্য অঞ্চলকে যুক্ত করবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও।
খাগড়াছড়ির প্রতিটি এলাকা এখনও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের আওতায় না আসলেও সদর ও উপজেলা শহরের প্রতিটি সরকারি দফতর এখন ইন্টারনেটে সচল। সাধারণ মানুষও ব্যবহার করতে পারছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির কয়েকটি উপজেলা ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার প্রায় সবগুলো সড়ক পাকা হয়ে গেছে। রোডস এন্ড হাইওয়ে ৫৯টি সড়ক পাকা করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে রামগড় স্থলবন্দর চালু হবে। এতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য-আনা নেওয়া আরও সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। পর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আলুটিলা পাহাড়ে এমপি থিয়েটার নির্মাণ করা হয়েছে। ছুটির দিনে সেখানে ৭ থেকে ৮ হাজার পর্যটক আসছেন। অন্যান্য সাধারণ দিনেও ৫ হাজারের মতো পর্যটক হয়। পর্যটনকে ঘিরে পরিবহন ও হোটেল-মোটেলের ব্যবসা বাণিজ্য বেড়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এর ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উপকৃত হবে। খাগড়াছড়িতে কৃষিরও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে এখানকার ফল-মূল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ে উন্নয়নের হাওয়া
জানা গেছে, ২১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সড়কে পিসি গার্ডার সেতু, আরসিসি সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগ এই কাজটি করেছে। এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে সড়ক উন্নয়নে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাজ। ৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের সিন্দুকছড়ি থেকে মহালছড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ২০ ইসিবি। বর্তমান সরকারের আমলে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-বাঘাইহাটের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৬টি সড়ক নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। ৮৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঘাইহাট-মাচালং-সাজেক সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। দীঘিনালা-ছোটমেরুং-চাংড়াছড়ি-লংগদু সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে। ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হয়েছে। এই চারটি সড়কই নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি। এছাড়া আরও বেশ কিছু সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পার্বত্য তিন জেলাকে এক সড়কে সংযুক্ত করতে বর্তমান সরকার ১০৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক তৈরি করছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার সীমান্তে পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হচ্ছে দেশের এই সীমান্ত সড়ক। এরইমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে সড়কটি। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি গুণগতমান নিশ্চিত ও যথাসময়ে সম্পন্ন করতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের ১৬, ২০ ও ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনেন চাকমা বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত সড়কটি তৈরি করা হচ্ছে। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলোর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ করার ফলে এ অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের আমূল পরিবর্তন হচ্ছে ও জনগণের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। সড়কপথের উন্নয়নের কারণে এই অঞ্চলের অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন হবে।
রামগড় স্থলবন্দর পাল্টে দেবে পাহাড়সহ গোটা চট্টগ্রাম
খাগড়াছড়ি জেলায় গড়ে ওঠা রামগড় স্থলবন্দর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অর্থনীতির চিত্রও পাল্টে দেবে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাড়বে বাণিজ্য। এরইমধ্যে ফেনী নদীর উপর নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা রামগড়ে শিগগিরই চালু হবে ইমিগ্রেশনও। স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চালু হলে, ভারতের সঙ্গে পণ্য আনা নেওয়া আরও সহজ হবে। গতি সঞ্চার হবে অর্থনীতিতে। কমবে পরিবহন ব্যয়ও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজও শেষ। পড়ন্ত বিকেলে পর্যটকরাও আসছেন এই সেতু দেখতে। সেতুর বাংলাদেশ প্রান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা পাহারায় রয়েছেন। সেতুর ঠিক মাঝে একটি রশি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই রশির অপর প্রান্তেই ভারত। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের রশি অতিক্রম না করার নির্দেশনা রয়েছে। সব মিলিয়ে বন্দর ও সেতুর কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষার পালা।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে রামগড় স্থলবন্দর চালু হবে। এতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য-আনা নেওয়া আরও সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। দেশের পর্যটনেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
পাহাড়ি খাগড়াছড়ির সব সদরেই এখন ইন্টারনেট
খাগড়াছড়ির সব পাহাড় এখনও ইন্টারনেটের আওতায় আসেনি। সড়ক পথে চলাচলের সময়ও ইন্টারনেটে বিঘ্ন ঘটে। খাগড়াছড়ির পথে পথে পর্যটকদেরও থাকতে হয় ইন্টারনেটবিহীন। তবে বিভিন্ন উপজেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার মূল শহর এখন ইন্টারনেটের আওতায়। সরকারি প্রতিটি অফিসও এসেছে ইন্টারনেট সংযোগে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, খাগড়াছড়িতে ২০১২ সালে ১৭০০ লাইনের ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়েছে। ২০১৮ সালে ইনফোসরকার-২ প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে প্রতিটি সরকারি দফতরে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছ। এলএলআই ও ভিপিএন সংযোগ চালু করাসহ টেলিফোন গ্রাহক পর্যায়ে এডিএসএল’র এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। জেলা সদরে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও চালু হয়েছে।
বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
খাগড়াছড়িতে গত এক দশকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। নতুন অধিবাসী শিশুরাও এসেছে শিক্ষার আওতায়। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৫-০৬ সালের দিকে জেলাটিতে ৪০টি মাধ্যমিক স্কুল ছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টিতে। শিক্ষক সংখ্যা ৩৯৮ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৫ জনে। ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। প্রায় এক দশক আগে এই জেলাটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ৩৩৫টি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯৩টি। বেড়েছে শিক্ষার্থীরা সংখ্যা। ২০০৫-০৬ সালে যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ৬৬ হাজার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার।
স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক অগ্রগতি: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি, রামগড়, দীঘিনালা ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় অধিবাসীরা এখন সহজেই হাসপাতালে আসতে পারছেন। চিকিৎসা সেবা পাওয়া এখন তাদের কাছে অনেকটাই সহজ।
যা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম মিয়া। ফাহিম জানায়, সিন্দুকছড়ি এলাকায় নতুন রাস্তা হয়েছে। এ রাস্তার ফলে খাগড়াছড়ি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাই পাল্টে গেছে। এলাকায় অনেকেই সরকারি ঘর (আশ্রয়ণ প্রকল্প) পেয়েছে। ছোট ছোট কালভার্ট হয়েছে। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পংখী মুরা এলাকায় কথা হয় দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী টিউলিপ ত্রিপুরার সঙ্গে। লেখাপড়ার পাশাপাশি পাহাড়ের কোলে গড়ে তোলা পরিবারের ছোট্ট একটি দোকানেও বসে সে। টিউলিপ জানায়, আগে সহজে স্কুলে যাওয়া যেত না। সিন্দুকছড়ির এই রাস্তা ছিল না। তখন খুব কষ্ট হত। এখন সহজেই গাড়িতে করে স্কুলে যেতে পারি।
নানামুখী উন্নয়নের জন্যে এই পাহাড়ি শিশু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে অকপটে।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ে উন্নয়নের হাওয়া
মাটিরাঙ্গা উপজেলার দলিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রত্ত দত্ত বলেন, কেউ অসুস্থ হলে আগে সহজে হাসপাতালে নেওয়া যেত না। পরিবার কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হত। এখন আর রোগীদের কাঁধে তুলতে হয় না, বরং চান্দের গাড়ি দিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে স্বল্প সময়ে ডাক্তারের কাছে নেওয়া যায়। এর চেয়ে বড় উন্নয়ন আর কী হতে পারে!
টিলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিতাই দত্ত বলেন, মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কটি প্রায় তিন বছর আগে চালু হয়। এটি হওয়ার কারণে আমাদের বাণিজ্যিকভাবে উপকার হয়েছে। কাঠ, বাঁশ, লেকের মাছ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সহজে পাঠাতে পারি। এখানে পাহাড়ি ও বাঙালিরা মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।
পংখী মুরা এলাকার বিপুল বিশ্বাস ত্রিপুরা বাচ্চু বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই এলাকার মানুষ পাহাড়ের ফলমূল, শাক-সবজি শহরে পাঠাতে পারে। আগে এই এলাকার মানুষ অসুস্থ হলে রাস্তার কারণে কোথাও নেওয়া যেত না। দুর্গম এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ ছিল না। কিন্তু রাস্তা করে দেওয়ায় তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।
ঢাকার নিকুঞ্জের বাসিন্দা আসিফুল ইসলাম খান। তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে করে সাজেক গিয়েছিলেন। প্রায় প্রতিবছরই তারা বাইকে চড়ে সাজেক যান। খাগড়াছড়ির গুইমারা এলাকায় কথা হলে বাইকরা আসিফুল বলেন, পাহাড়ের রাস্তা এখন আর আগের মতো নেই। প্রতিটি সড়কই নতুন। দেখে মনে হবে কয়েকদিন হল চালু হয়েছে। অধিকাংশ সড়কের চিত্রই এমন। তবে কিছু কিছু রাস্তা নষ্ট রয়েছে। সাজেক যেতে কিছুটা কষ্ট হয়। তবে আগের চেয়ে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন অনেক বেশি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদরে কথা হয় ফোর পয়েন্টস ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. শওকত বাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি বদলে গেছে। এখানে নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। পর্যটক আগের চেয়ে বেড়েছে। এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, দেশের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। পর্যটনই এ জেলার ব্র্যান্ডিং। বর্তমান সরকারের নেওয়া নানামুখী উদ্যোগ ও কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে এ জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন খাতে জেলাটি যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে, যা এই জেলার অর্থনীতির প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করছে।