বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণাদাত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী, সহকর্মী, সহযোদ্ধা এবং জীবনের চালিকাশক্তি। মহীয়সী এই নারী নিজেকে শুধু স্বামী, সন্তান, সংসার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সর্বক্ষণের সহযোগী ও অনুপ্রেরণাদাত্রী হয়ে নিভৃতে কাজ করে গেছেন।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদানের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিবস ৮ আগস্টকে সরকার ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে প্রতি বছর আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচ জনকে জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ পদক প্রদান করা হয়।
এ বছর রাজনীতিতে এক জন; শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে দুই জন এবং গবেষণায় এক জন মোট চার জন বিশিষ্ট নারী ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২৩’ প্রদান করা হবে। ‘রাজনীতি’ ক্ষেত্রে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অণিমা মুক্তি গমেজ ও মোছা. নাছিমা জামান ববি, গবেষণায় ড. সেঁজুতি সাহা এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩’-এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১০ টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক বিতরণ এবং আর্থিক অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।