পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

বিশ্বে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় অবস্থানে নেমে এসেছিল। ২০২২ সালে সেই অবস্থানটি পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২৩ অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানটি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

ডব্লিউটিও’র ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২৩ অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাদে একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বএক নম্বর অবস্থানে যথারীতি চীন। তবে এ খাতে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করছে এশিয়ার আরেক দেশ ভিয়েতনাম। এ দেশটিও তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে।

প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। বাংলাদেশের বাজার অংশীদারত্ব (মার্কেট শেয়ার) ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, তাদের মার্কেট শেয়ার ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২৩ প্রতিবেদনে শীর্ষ ১০ পোশাকের রফতানিকারক দেশের রফতানি, বাজার অংশীদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বরাবরের মতো ২০২২ সালেও বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের প্রধান রফতানিকারক ছিল চীন। গত বছর দেশটি পোশাক রফতানি করে ১৮২ বিলিয়ন ডলারের। একই খাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর রফতানি ছিল ১৫৬ বিলিয়ন ডলারের।

রফতানি, বাজার অংশীদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশ দুটি। ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে ভিয়েতনামও আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরষ্ক।

পোশাক রফতানির বৈশ্বিক বাজারে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অংশ বা হিস্যার হ্রাসবৃদ্ধিও উঠে এসেছে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০২২ সালের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, চীনের বাজার-অংশ সম্প্রতি সংকোচনের ধারায় চলে গেছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির হিস্যা ছিল ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২০১০ সালে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০২২ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির অংশগ্রহণ কমে হয়েছে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ।

বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চলতি শতকের সূচনাকালে সামান্য কমলেও বর্তমানে তা প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক রফতানির ২ দশমিক ৬ শতাংশ করেছিল বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে তা কমে হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ৪ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ।