ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী- উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম নগরী জোহানেসবার্গে ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও ব্রিকস নেতাদের আউটরিচ এবং ব্রিকস ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ৫ দেশীয় এ জোটের সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাংলাদেশসহ ৮ দেশকে সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে । এর আগে গত জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও সম্মেলনে যোগদানকালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় ।

২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন ‘ব্রিক’ নামে একটি রাষ্ট্রীয় জোট গঠন করে। মূলত ব্রিক ধারণাটির প্রবর্তক ছিলেন বিনিয়োগ ব্যাংক দ্য গোল্ডম্যান সাচের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল। ২০০১ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি বলেছিলেন, ‘২০৫০ সাল নাগাদ এ চারটি দেশই অর্থনীতিতে প্রাধান্য দেখাবে। কারণ, এ চার দেশের অর্থনীতি দ্রুতবর্ধনশীল। তাদের শ্রম সস্তা, জনমিতি অনুকূলে এবং ব্যবহার করার মতো প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।’ ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এ জোটে যোগ দিলে এর নতুন নাম হয় ‘ব্রিকস’। ২০০৬ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন প্রথম জোট গড়ার আগ্রহ জানান।

ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ দেশের মন্ত্রীরা এ নিয়ে প্রথম বৈঠকে বসেন। ২০০৮ সালে রাশিয়ায় প্রথম মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর জাপানে অনুষ্ঠিত জি-এইট সম্মেলনে পুতিন বাকি দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০০৯ সালের ১৬ জুন রাশিয়ায় প্রথম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ব্রিকসের।

বর্তমানে ব্রিকস গ্রুপ পশ্চিমের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর বাইরে একটি শক্তিশালী জোটে পরিণত হয়েছে। ব্রিকসভুক্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ৩৪২ কোটি। মোট আয়তন ৪০ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ এবং মোট আয়তনের ৩০ শতাংশ।

ব্রিকস গ্রুপের উদ্দেশ্য দুটি যথা- ১. এর সদস্যদের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়া এবং ২. স্বায়ত্তশাসন অর্জন করা! এই প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমা আধিপত্যের মোকাবিলা করা। এখানে উল্লেখ্য, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পটভূমিতে ব্রিকস জোটের সম্প্রসারণের গতি বাড়ছে ক্রমশ। ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের প্রায় ২৮ শতাংশ ভূখ- জুড়ে এর ব্যাপ্তি, যেখানে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। সব মিলে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের ২৫ শতাংশ জ্বালানি তেল এবং ইস্পাত তৈরিতে ৫০ ভাগ আকরিক লোহা উৎপাদন করে থাকে। বিশ্বের ৪০ শতাংশ ভুট্টা এবং ৪৬ শতাংশ গম এ জোটভুক্ত দেশগুলোয় উৎপন্ন হয়ে থাকে। এসব কারণে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো তাদের প্রভাব ও উপস্থিতির জানান দিতে পেরেছে।

এই নতুন সংস্থায় যোগ দেওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিলে শুধু অর্থনীতি নয়, ভূরাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ ঘটবে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে। ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভবিষ্যতে বিকল্প মুদ্রা বা বিকল্প বাণিজ্য সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে আইএমএফসহ বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে তা থেকে বড় আকারের ঋণ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিউটিও) সূত্র মতে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকসের অবদান ছিল ৩১.৫ শতাংশ ( ২৬.০৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান) এবং একই সময় এফডিএই প্রবাহ ও স্টক ছিল ৩৫৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব বাণিজ্যে তাদের অবদান ৯ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১৮ শতাংশ। একটি প্রক্ষেপণে অনুমান করা হয় যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস দেশগুলোর অবদান ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে, হতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ব্রিকস দেশগুলো বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিকল্প হিসাবে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক চালু করে এবং নতুন সদস্যদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দেয়। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৫০ বিলিয়ন ডলারের মূলধন নিয়ে, যার ২০ শতাংশ দিয়েছিল ব্রিকস জোটের দেশগুলো, যা ১০ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের। ২০২১ সালে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উরুগুয়ে ও বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের শেয়ার গ্রহণ করে। তবে এ শেয়ারের মূল্য ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের বিনিয়োগকৃত ১০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে অনেক কম ছিল।

তারপরও সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হওয়ায় অনেক দেশই এখন ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইরান, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, মিসর, সৌদি আরবসহ অনেক রাষ্ট্র। ব্রিকসের সম্ভাবনা দেখে আরও ২০টি দেশ সদস্যপদ লাভের আবেদন করেছে। যা বাস্তবায়িত হলে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তীকালে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ব্রিকসের প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়েছে। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান সুদৃঢ়করণ এবং গ্রুপ অব সেভেনভুক্ত (জি-সেভেন) উন্নত দেশগুলোর বিকল্প মডেল দাঁড় করানোর লক্ষ্যও রয়েছে ব্রিকসের।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সব দেশ তাদের নিজস্ব মুদ্রা শক্তিশালী করতে চাচ্ছে। ব্রিকস গ্রুপ সেই লক্ষ্য অর্জনে তাদের সাহায্য করতে পারে। এটি এমন এক বিকল্প ব্যবস্থা, যা এ দেশগুলোকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ডলারের তীব্র ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। ২০২২ সালে ১৪তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, ব্রিকস দেশগুলো এমন এক মুদ্রাব্যবস্থা চালু করবে, যা দিয়ে একটি নতুন বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা চালু করা যাবে। এটি মার্কিন ডলারের আধিপত্যের জন্য সরাসরি হুমকি হবে এবং এর আধিপত্য খর্ব করতে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অনেক দেশের মুদ্রার ওপর নি¤œমুখী চাপ পড়ে।

মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে পণ্য, কাঁচামাল আমদানি ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধও বাধাপ্রাপ্ত ও ব্যয়বহুল হয়। ফলে, দেশগুলো থেকে পুঁজি চলে যাচ্ছে। এ বাস্তবতার নিরিখে এনডিবির বার্ষিক সভায় বৈশ্বিক মুদ্রাব্যবস্থা বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ব্রিকস জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইজারল্যান্ড সফরে বলেছিলেন, ব্রিকস যখন জোট করার প্রস্তুতি নেয়, তখন থেকেই বাংলাদেশ এর সঙ্গে ছিল, তবে ফাউন্ডার মেম্বার হওয়া যায়নি। এখন মেম্বার হওয়ার সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ চাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেন এককভাবে কারও ওপর নির্ভরশীল না হতে হয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যেন অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকে। বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন পাওয়া যায়, যা ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সহায়ক সিদ্ধান্ত হিসাবে কাজ করেছে। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদানের সুবিধা সম্পর্কে অনেক দেশের অনেক ব্যক্তি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে, ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্তকে বৈদেশিক সম্পর্ক ও মুদ্রা বহুমুখীকরণের উদ্যোগ হিসেবে স্বাগত জানায়। তবে সতর্ক বার্তা হলো, এটি কোনো বাণিজ্য জোট নয়।

তাই যোগ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে না বিধায় জোটটি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন ডলারের আধিপত্য হ্রাসের লক্ষ্যে সম্প্রসারিত হচ্ছে, তাই মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমনÑ অক্টোবরে বিকল্প মুদ্রা চালুর বিষয়টি বিবেচনা করছে এনডিবি। ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারত বাংলাদেশের শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদার। আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশই এ দুই দেশ থেকে করা হয়। ইতোমধ্যে ২০২২ সালে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি হয়েছে ৩.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং একই অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৩৫ . ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদানের চ্যালেঞ্জও অনেক রয়েছে। যেমন- বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনীতি- এতে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হতে পারে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাজারই বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ২০ শতাংশেরই গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। মোট পণ্য রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশের গন্তব্য ইইউ। সর্বমোট যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোটভুক্ত দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) ১৯ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, প্রবাসী আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দ্বিতীয়। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রবাসী আয়ের শীর্ষস্থান দখল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, যা দেশের প্রবাসী আয়ের ২০ শতাংশ।

ইইউ আমাদের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার অধীনে যে কোনো পণ্য শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে। সে কারণেই আমাদের প্রায় অর্ধেক তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে ইইউতে। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা না দিলেও দেশটিতে রপ্তানি হচ্ছে ২০ শতাংশ পোশাক। অন্যদিকে, ব্রিকসভুক্ত চীন ও ভারত বাংলাদেশের মোট আমদানির প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে, যা রপ্তানির চেয়ে বহুগুণ বেশি। ফলে, দেশের বাণিজ্য ঘাটতি যা হয়, তা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ দিয়ে মেটাতে হয়। বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বের আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে। ফলে, বিভিন্ন সংস্থার ঋণ পাওয়া, অবরোধ থেকে রক্ষা পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সম্ভব হবে না। আবার বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিরাপত্তাকর্মী জাতিসংঘের মিশনে যায়, যা থেকে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে গেলে বাংলাদেশ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
আসন্ন ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ সাংবিধানিক পথেই হাঁটছে। যেমন- গণতন্ত্র, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন; মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ নানা ইস্যুতে সরকার খুবই আন্তরিক। সব দলের অংশগ্রহণে এ দেশে একটি নিরপেক্ষও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটাই সরকারের মূল লক্ষ্য এবং সেভাবেই কাজ চলছে। এ ধরনের একটি সময়ে সরকার ব্রিকসের সদস্য হতে যাচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয়। সহজেই অনুমেয় যে, এই জোটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান করে নিতে পারবে এবং উন্নয়নের দিকে যাবে দেশ।

লেখক : ড. মিহির কুমার রায়, অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা