ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আরো চারটি পণ্য। সেগুলো হলো—বগুড়ার দই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা জাতের আম এবং শেরপুর জেলার তুলসীমালা ধান। এই চারটিসহ বাংলাদেশের মোট জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫টিতে।
বুধবার (৫ জুন) বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান। গত মাসের ২৬ জুন ডিপিডিটির সভায় পণ্যগুলোর জিআই অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, দেশে সর্বপ্রথম জিআই সনদ পায় জামদানি শাড়ি। এরপর ইলিশ মাছ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন কাপড়, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্কের শাড়ি, রংপুরের শতরঞ্জি ম্যাট, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম।
কোনো দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলের মাটি, পানি, আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী যদি বিশেষ কোনো পণ্য তৈরি করে, একই সঙ্গে সেই পণ্যটি যদি ওই এলাকার নির্দেশক হয় তাহলে তাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
যা আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দেয়। ২০১৩ সালে জিআই নিবন্ধন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ সালে ওই আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের সনদ দেওয়া শুরু করে ডিপিডিটি।
জিআই সনদের বিষয়ে ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই চার পণ্য জিআইয়ের জন্য আবেদনের পর আমরা যাচাই-বাছাই করে বিজি প্রেসে পাঠিয়েছিলাম। তারা গেজেট আকারে প্রকাশ করার দুই মাস পর এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, কোনো পণ্য জিআই সনদ পেলে সেটা আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, চাহিদাও বাড়ে। যেমন ভারতের দার্জিলিংয়ের চা জিআই সনদ পাওয়ার পর ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটে।