তুলসীমালা ধান-চাল জিআই পণ্য

তুলসীমালা চাল শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী। এ চালের সুনাম দেশের বাইরে পর্যন্ত। সম্প্রতি এই চাল জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান শেরপুর জেলা প্রশাসককে সনদপত্রের জন্য জিআই ফরম-১৪ পূরণে এবং নির্ধারিত ফি প্রদানে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশের পর থেকেই আনন্দে ভাসছেন শেরপুরবাসী।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার পাঁচ উপজেলায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে তুলসীমালা ধানের আবাদ হয়। বাম্পার ফলনে চাল পাওয়া যায় ১০ হাজার মেট্রিক টন। প্রচারের সুবিধার্থে এক কেজি করে প্যাকেট তৈরি করে মোট ১১ হাজার প্যাকেট তুলসীমালা চাল বাজারজাত করে কৃষি বিভাগ। দেশের বিভিন্ন কৃষিমেলায় এ চাল বিক্রি করে এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে এ বিভাগ। প্যাকেটের গায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে সবাই জানতে পারে। কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চালটি রপ্তানির লক্ষ্যে কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তুলসীমালা ধান-চাল শেরপুর জেলার জিআই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। সাধারণত নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থলের কারণে কোনো পণ্যের গুণগত মানের খ্যাতি তৈরি হলে সেটির জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধাপটি সম্পন্ন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌগোলিকভাবেও শেরপুরের পরিচিতি বাড়বে।

শেরপুর খামারবাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. সুকল্প দাস বলেন, জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমে তুলসীমালা ধান-চাল জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।