‘বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতার বাতিঘর’

ব্রিটিশ এমপি এবং সহকর্মীরা বুধবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। বক্তারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ধর্মনিরপেক্ষ আকাঙ্ক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করেন।

তারা স্বীকার করেন যে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য দেশের কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর প্রচেষ্টায় যা সম্প্রীতি হুমকির মুখে পড়েছে এবং সেখানে সজাগ থাকার প্রয়োজন ছিল।

এমপি স্যার স্টিফেন টিমস, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির লিসা ক্যামেরন, লর্ড মেন্ডেলসন এবং তাদের অফিসের সদস্যরা এতে প্রতিনিধিত্ব করেন।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সিনিয়র প্রতিনিধিরা।

এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন যে, বাঙালি সংস্কৃতিতে ধর্মের বিভেদ নেই। আমরা সবাই এক সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগতভাবে। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো আইন নেই এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাংলাদেশে নেই। আমরা সবাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আছি।

সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের পক্ষে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যারনেস ভার্মা।

তিনি বলেন, ‌আমি তিনবার বাংলাদেশ সফর করেছি। দুইবার নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং একবার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সম্ভাবনা এবং সম্ভাবনার কথা শুনে খুব খুশি হয়েছি।

লন্ডনে বাংলাদেশ স্টাডি সার্কেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বলেন, ‌সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় জর্জরিত একটি অঞ্চলে বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতার বাতিঘর হিসেবে আলাদা। আমরা আজ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এই অর্জন জানাতে পেরে আনন্দিত। আশা করি ব্রিটিশ এমপি এবং সহকর্মীরা এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফরে যাবেন। আমাদের এই সংহতির সাফল্যের গল্প দেখতে তাদের আমন্ত্রণ জানাই।