অতি প্রবল রূপ ধারণ করে কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। অন্যদিকে সেন্ট মার্টিনে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৩শ মানুষ।
কক্সবাজার উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের মাইকিং করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ করছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুর ২ টার পর থেকে উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের মাইকিং করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ করছে এসব বাহিনী।
প্রশাসনের পক্ষে বলা হচ্ছে, কক্সবাজারের পুরো উপকূলে প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সব দপ্তরের লোকজন শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনারটেক উপকূলীয় এলাকা প্রচারণা চালাতে যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি, আনসার মাঠে রয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো নিশ্চিত করবে প্রশাসন।
এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সৈকতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য টুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীরা কাজ করছে।