তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ত্রিপুরার দুটি ‘বর্ডার হাট’। এর মধ্যে একটি মঙ্গলবার (৯ মে) থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ফেনী এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে, পূর্ব মধুগ্রাম (বাংলাদেশ)-শ্রীনগর (দক্ষিণ ত্রিপুরা) এর হাট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৯ মে থেকে শুরু হবে সীমান্ত হাট।
হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্র জানায়, মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চে হাটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় দুদেশের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ হাটটি ব্যবসার জন্য যেমন চাঙা ছিল, তেমনি পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি দুই বাংলার মিলনমেলা বসতো। হাটকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার দরিদ্র মানুষ গড়ে তুলছিলেন জীবন-জীবিকা। তিনবছর বন্ধ থাকায় তাদের মানবেতর জীবন কাটছির। অবশেষে হাটটি চালুর খবরে খুশি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গত বছর থেকে পুনরায় চালু করা হয়েছিল মেঘালয়ের বালাট (পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলা) এবং কালাইচর (দক্ষিণ পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলা) দুটি বর্ডার হাট। হাট দুইটি সপ্তাহে এক দিন করে বসে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বেকার হয়ে পড়েছিলেন। আবার যদি চালু হয় তাহলে তারা কর্মসংস্থানে ফিরবেন। হাটটি চালু হলে সুদিন ফেরার আশা করছেন স্থানীয়রাও।
দুই দেশের নো-ম্যাস ল্যান্ডে আবার বসবে মিলনমেলা। দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর আবার কাজে ফেরার অপেক্ষায় আছেন হাটটির দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। সীমান্ত হাটকে ঘিরে আবারও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা ভাবছেন স্থানীয়রাও।
এ হাটকে ঘিরে শুধু বিকি-কিনি নয় বসত দুই দেশের মিলনমেলা। তৈরি হতো হাসি-আনন্দের দৃশ্যপট। দুই দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করতে লাগত না পাসপোর্ট ভিসা। সেই মেলবন্ধন আবার তৈরি হওয়ার কথা ভেবে হাটের পাশের দুদেশের স্থানীয়দের মধ্যেও বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস।