পুকুরে ইলিশ!

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় একটি পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেছে। বিষয়টি রীতিমতো নচিকেতার সেই বিখ্যাত গান অবাক কাণ্ডের মতো! প্রশ্ন সবার। পুকুরে ইলিশ এলো কীভাবে?

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) একটার দিকে পাথরঘাটার চরদুয়ানী গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির পুকুরে ওই ইলিশ পাওয়া যায়। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মরহুম সিরাজুল হক জমাদ্দারের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে একটি ইলিশ মাছ ধরা পরে।

সিরাজুল হকের ছেলে তুষার জমাদ্দার জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে ছোটভাই পিয়াস বাড়িতে আসে। তার জন্যে মাছ ধরতে গিয়ে রুই-কাতলা, পাঙ্গাশ-তেলাপিয়ার সঙ্গে বেশক’টি আইড় মাছ ও একটি ইলিশ মাছ ধরা পরে। বিশাল এই পুকুরের সঙ্গে নদীর জোয়ার-ভাটার জলের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তাই নদীর পানির সঙ্গে সংযোগ থাকার কারণে কোনো এক সময় হয়তো ইলিশের ও আইড় মাছের পোনা পুকুরে ঢুকে আটকা পড়ে ও এখানেই তারা বড় হতে থাকে। ইলিশটির ওজন ৫০০ গ্রাম। ইলিশটি ধরার সময় আরো তিন-চারটি একই সাইজের ইলিশ জাল থেকে লাফিয়ে যেতে দেখেছেন বলে তুষার জমাদ্দার এই প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, পুকুরে ইলিশ ধরা পরছে এমন খবরে জমাদ্দার বাড়ির ওই পুকুরের পাড়ে ভিড় করে চরদুয়ানী গ্রামের অসংখ্য উৎসুক লোক।

তুষার জমাদারের পরিচয় তিনি একজন স্থানীয় রাজনীতিক। তিনি মনে করেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরকার চাইলে এখন এভাবে পুকুর কিংবা ঘেরে ইলিশ চাষের সুযোগ দিতে পারেন। তার কারন পাথরঘাটার অধ্যাপক এনআই খানের হোগলাপাশা শেল্টার ভিলেজের পুকুরে এর আগেও ইলিশ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মৎস্য ঘের মালিক মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, আমরা ইলিশের জীবনধারণ ও প্রজনন সম্পর্কে বইপুস্তক থেকে যা জেনেছি, সেই অনুযায়ী পুকুরে অন্তত ইলিশ থাকার কথা না। তারপরও যেহেতু পুকুরেই হরহামেশা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলের আবহাওয়া ইলিশের জীবনধারনের জন্য উপযোগী। পরীক্ষামুলকভাবে এখন পুকুর অথবা ঘেরে ইলিশের পোনা চাষ করা যেতে পারে।