বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড শেয়ারবাজারে

দেশের পুঁজিবাজারে ঈদ পরবর্তী সুবাতাস বইছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ের দৈনন্দিন লেনদেনের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। টানা ৯ কার্যদিবস সূচক বাড়ার পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন ৯৬৭ কোটি ছাড়িয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়েছে।

এর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা, সেটি হয়েছিল গত বছরের ৯ নভেম্বর। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ৯৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় ঢাকার শেয়ারবাজারে। যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে। গত বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। এদিন সূচক কমার তালিকায় নাম লেখায় ডিএসই৩০। এই সূচকটি ৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এরমধ্যে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই ছিল ২১০টি, দাম বেড়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৯টি এবং দাম কমার তালিকায় রয়েছে ৬২টি প্রতিষ্ঠান।

এ দিন দেশের অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার। আগের দিন বুধবার সিএসইতে ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৪৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৮টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।