চিনা বাদাম চাষে চমক দেখালেন আরফান আলী

চিনা বাদাম যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পাতাও বেশ সুদর্শন। পাতার গড়ন অনেকটা আলুপাতার মতোই। এ বাদাম মাটির নিচে জন্মে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দান করে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয়। তবে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে প্রথম চাষ হয়েছে এ বাদামের।

জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম চেষ্টা করছেন কৃষকদের দিয়ে চিনা বাদাম চাষ করাতে। এ লক্ষ্যে তিনি কৃষকদের পরামর্শ দেন। বাহুবলে এই চিনা বাদাম চাষ একেবারে নতুন। তাই প্রথমে অনেক কৃষক চাষে আগ্রহী হচ্ছিলেন না।

অবশেষে বাহুবল উপজেলার ভৈরভীকোনা গ্রামের বাসিন্দা আরফান আলী প্রায় ৩০ শতক জমিতে চিনা বাদামের বীজ বোনেন। প্রায় ৪ মাস লেগেছে চিনা বাদাম উৎপাদনে। উপজেলায় নতুন এই ফসলটি দেখতে এলাকার কৃষকরা সরেজমিন আসেন। ভালো ফলন দেখে অন্যরাও চিনা বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

কৃষক আরফান আলী বলেন, চিনা বাদাম চাষে খরচ নেই বললেই চলে। তবে নিজেদের গোবর থাকলে জমিতে প্রয়োগ করে বাদামের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। পানি দিতে হয়েছে। তেমন কোনো বিষ প্রয়োগ ছাড়াই চিনা বাদাম চাষ করতে পেরে আমি আনন্দিত। চাষে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম। ধারণা করছি, প্রায় ৫০ হাজার টাকা চিনা বাদাম বিক্রি করতে পারবো। খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা।

এলাকার কৃষকরা বলেন, শ্রম দিলে ফল আসে। নতুন ফসল চিনা বাদাম চাষ করে তার প্রমাণ দিলেন কৃষক আরফান আলী। তার ক্ষেতে বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। তাই আমরা (কৃষকরা) চিনা বাদাম করতে চাই।

সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম বলেন, আরফান আলী প্রমাণ করলেন চেষ্টা করলে সফল হওয়া সম্ভব। তাকে সহযোগিতা করেছি। তিনি শ্রম দিয়েছেন। বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। এ ফলন দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, বাহুবলে প্রথম চিনা বাদাম চাষে আরফান আলী চমক দেখিছেন। বাদাম আমাদের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিনা উদ্ভাবিত ধান, তৈলবীজ, গম, ডালসহ বিভিন্ন ফসলের জাত প্রচলিত জাতের তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি ফলন দেয়।