গারো পাহাড়ে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি

গারো পাহাড় শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক, ওয়াটার কিংডম ও প্যারাডোবা, ঝুলন্ত ব্রীজ, রোপওয়ে, জিপলাইনার, ক্যাবল কার, প্যাডেল বোট, সাম্পান নৌকা, ঝর্ণাধারাসহ আকর্ষণীয় রাইডস। সীমান্তের এপার ও ওপারের পাহাড়গুলোর লুকোচুরির খেলা তো আছেই।

উত্তরের জেলা শেরপুরের গারো পাহাড়ে গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকো পার্ক নামে দুটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও আছে পানিহাটা ও রাজার পাহাড়সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। ঈদসহ নানা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে এসব পর্যটন কেন্দ্র।

আসন্ন ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধোয়ামোছা ও রঙকরণের কাজ চলছে। দর্শনার্থী বরণে নেয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।

গারো পাহাড় শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক, ওয়াটার কিংডম ও প্যারাডোবা, ঝুলন্ত ব্রীজ, রোপওয়ে, জিপলাইনার, ক্যাবল কার, প্যাডেল বোট, সাম্পান নৌকা, ঝর্ণাধারাসহ আকর্ষণীয় রাইডস। সীমান্তের এপার ও ওপারের পাহাড়গুলোর লুকোচুরির খেলা তো আছেই।

গারো পাহাড়ে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি
দীর্ঘ এক মাস রমজান থাকায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল না পর্যটকের আনাগোনা। সুযোগ পেয়ে প্রকৃতি তার মতো করে নিজেকে গড়ে নিয়েছে। সামনে ঈদে নয়নাভিরাম গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসবেন দর্শনার্থীরা। সারা দেশ থেকে মানুষ পাহাড়ে আসবেন প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে। মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আসবেন গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্কে। এবারের ঈদে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। এ আশায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ী ও ইজাদাররা।

ইজারাদার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে আমাদের যে রাইডসগুলো আছে সেগুলো ধোয়ামোছা ও রংকরণেরক কাজ চলছে। আমরা কিছু রাইডস সংযোজন করেছি। এক মাস বন্ধ থাকায় প্রকৃতিও সুন্দরভাবে সেজেছে। আমরা আশা করছি এবার ঈদে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হবে পাহাড়ে।’

গারো পাহাড়ে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি
ইজারাদার বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমরা অবকাশে রাইডসের ব্যবসা করি৷ রোজার মাসে সব বন্ধ ছিলো। লোকজন আসে নাই। কয়েকদিন থেকে রাইডসগুলার রং ও ধোয়ামোছার কাজ করছি। আশা করছি ঈদে আমাদের ভালো আয় হবে।’

ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রায় এক মাস দোকান খুলি নাই। এখন দোকান খুলে দোকানের সব মাল সাজাচ্ছি ও পরিষ্কার করতাছি। আর নতুন নতুন মাল তুলতাছি। ভালো বিক্রি হবো, একমাসে যে বিক্রি করবার পারি নাই তা উঠে যাবে।’

গারো পাহাড়ে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি
শেরপুরের গারো পাহাড়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ এখানে আনন্দ উপভোগ করতে আসবেন- এমন প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের।

জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, ঈদ সামনে রেখে শেরপুরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে বরাবরই এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। গারো পাহাড়ের এসব পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর এ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদেই আনন্দ উপভোগ করবেন আগতরা।