প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান সফল হলে দেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তা-ঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনেও আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে এক্সপার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি বাসভবন গণভবনে রোববার জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের (এনটিসি) অষ্টম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশের মানুষকে বুঝতে হবে, শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশ পরিচালনার সময়েই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, সেনাশাসন বা সেনা-সমর্থিত সরকারের সময়ে দেশের অগ্রগতি হয়নি।’
নতুন প্রজন্মের যারা রাজনীতিতে আসবে তারা যেন দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে পারে এবং গণতান্ত্রিক ধারা যেন অব্যাহত থাকতে পারে, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান সফল হলে দেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তাঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনেও আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে এক্সপার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
‘দেশ পরিচালনায় নীতি ও আদর্শ ধরে রাখার কারণে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সহজ হয়েছে। প্রশাসন পরিচালনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি, আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফল হিসেবে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ এর নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আজকের বাংলাদেশ কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর সুফল কিন্তু একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষ পাচ্ছে। এবারে আমাদের যে ঘোষণা, আমরা আগামী নির্বাচনে দেব, কিন্তু আমরা আগামই ঘোষণা দিয়েছি, সেটা হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো জাতিকে উন্নত করতে হলে প্রশিক্ষণটা একান্তভাবে অপরিহার্য। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, এখন হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
