ঈদ ঘিরে চাঙ্গা পর্যটন

বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি, ডলার ও প্লেনের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধিতে বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহ কমেছে

একদিকে করোনার তাণ্ডব-অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বমন্দা পরিস্থিতিতে এবার দেশীয় পর্যটনে ঝোঁক বাড়ছে। ঈদ ঘিরে বিপুল সম্ভাবনায় জেগে উঠছে পর্যটন শিল্প। এবার দেখা যাচ্ছে, ঈদের ছুটিতে বিদেশের চেয়ে দেশে ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি ও বিমানের টিকিটের দাম চড়া হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় চলতি ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা বিদেশের পরিবর্তে দেশের আকর্ষণীয় স্পটগুলোর জন্য বুকিং দিচ্ছেন। দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কক্সবাজার ও সিলেট সবার শীর্ষে। তারপরই রয়েছে কুয়াকাটা, সুন্দরবন, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি।

ঈদের ছুটিতে দেশের সরকারি- বেসরকারি খাতের পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গত দু’বছর করোনার কারণে দেশের পর্যটনে যে সর্বনাশ ঘটেছে, তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে চলতি রমজানেই। ঈদের ছুটিকে কাজে লাগানোর জন্য ভ্রমণকেই শীর্ষে রেখেছেন বিপুলসংখ্যক লোক। নি¤œ, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বিত্তবান সব শ্রেণির ভ্রমণপিপাসুই এই ঈদে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তে চান প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর পর দু বছর করোনা মহামারি আর ইউক্রেন যুদ্ধের দরুন দুনিয়াব্যাপী টালমাটাল অবস্থায় পর্যটনের ওপর বড় ধাক্কা পড়েছে। ফলে ঘরকুনো মানুষ ৩/৪ দিনের ছুটি পেলেই বিদেশের পরিবর্তে দেশেই ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাদের প্রধার লক্ষ্য নৈসর্গিক পরিবেশের কেন্দ্রগুলোতে। ট্যুর অপারেটররাও বিনিয়োগ করছেন দেশীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তারা আশাবাদী, দু’তিন বছরের মন্দা কাটিয়ে ওঠার এখনই সময়। এবার ঈদের মৌসুমে প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করবেন বলে ধারণা করছেন ট্যুর অপারেটররা।

জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এটা ভালো লক্ষণ। কেননা দুনিয়াব্যাপী চলছে আর্থিক মন্দার ঢেউ। এমন পরিস্থিতিতে শুধু বেড়ানোর জন্য দেশের বাইরে যাওয়া, ঘোরাফেরা করে ডলার ব্যয় করার চেয়ে দেশেরই বিভিন্ন আকর্ষণীয় এলকায় ঘুরতে পারাটা সব দিক দিয়েই কল্যাণকর। আমাদের আবেদন থাকবে, মানুষ যেন অন্তত এবারের ঈদে সবাই দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠেন। এতে টাকাও দেশে থাকবে, দেশও দেখা হবে।

বিশেষ করে ডলার ও বিমানের টিকিটের বাড়তি দামের দরুন বিশ্বে পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়ে। সে কারণেই এবার দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ কম। বিদেশে ভ্রমণেচ্ছুরা সাধারণত খোলাবাজার থেকে ডলার কেনেন। এখন এক ডলার কিনতে ১১০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়। আবার বিমানে টিকিটের দামও বেশ বেড়েছে। এসব কারণে এবার ঈদ মৌসুমে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক পর্যটকদের আগ্রহ একটু কম। তারা এখন দেশে ভ্রমণের ওপর নজর দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে গোল্ড এয়ারের কর্মকর্তা আরিফ বলেন, করোনার আগে ঈদের মৌসুমে আমরা পর্যটকদের কাছে যত টিকিট বিক্রি করতাম, এবার তার ৭০ শতাংশের মতো বিক্রি হবে বলে ভাবছি। মূলত ডলার ও টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই বিদেশের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ কম। সে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে শীর্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো। এক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে কক্সবাজার। এখানে বর্তমানে কোনো হোটেল-মোটেলে নেই কোনো সিট। তিল ধারনের ঠাঁই নেই পর্যটন নগরীতে। একই অবস্থা এয়ারলাইন্সগুলোতে। কোনো এয়ারেই টিকিট নেই ঈদের আগে-পরের দুদিনের।

অভ্যন্তরীণ দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাতায়াত বাড়ছে পর্যটকদের। সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। রাঙ্গামাটি আর বান্দরবানসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানও মুখরিত হয়ে উঠছে। হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউসে খালি রুম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। পর্যটকদের জমজমাট উপস্থিতিতে ব্যবসা জমে উঠছে। কক্সবাজার ও কুয়াকাটাতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটক এখন অনেক বেশি। ফলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পর্যটন খাত।

রাাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বিমান, বেসরকারি ইউএস বাংলা ও নভো এয়ারে যাত্রীর চাপ বেড়েছে অনেক। শুধু ঈদের দিন থেকে দেশের কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ অন্যান্য এলাকার চাপ পড়েছে আকাশপথেও। বিমান জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সটি আগে যেখানে ছোট এয়ারক্রাফট ব্যবহার করত, এখন সেখান থেকে সুপরিসর মডেল প্লেন অপারেট করতে হচ্ছে। যে কারণে বিমানের টিকিট মোটামুটি এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ইউএস বাংলা ও নভো এয়ারের ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ঈদের আগে পরের চারদিনের ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদে কক্সবাজারের টিকিট প্রায় সব বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদার বিপরীতে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। ফলে ফ্রিকোয়েন্সিও বাড়াতে হতে পারে।

পর্যটন করপোরেশনের অপর একজন মহাব্যবস্থাপক বলেন, করোনাকালেও অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত। অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলও বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক বেড়েছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার পর্যটকদের ঢল নেমেছে। আগের চেয়ে বড় বড় উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী যাতায়াত করছে। এটা কেউ আশা করেনি। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে পর্যটনের নতুন নতুন স্থান উন্নয়ন করতে হবে, যেখানে পর্যটকদের আগ্রহ রয়েছে।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, ঈদকে কেন্দ্র করে যেভাবে চাঙ্গা হয়েছে, তাতে আগামী দু’বছরের মধ্যেই আগের মতোই ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন খাত। এটা বিশাল প্রাপ্তি হবে গোটা দেশের জন্য। এই ঈদেই যে পর্যটন জমে গেছে, তার বড় লক্ষণ দেশ-বিদেশের পর্যটন নগরীর হোটেল-মোটেলে আসন ও এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট সংকট।

এ বিষয়ে টোয়াব সূত্র জানিয়েছে, এবার ঈদ সামনে রেখে পর্যটন ব্যবসায় চাঙ্গা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। ঈদের সময়ে নেওয়া ছুটি কাটাতে অনেকেই পরিবার-বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। কক্সবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, রাঙামাটি, বান্দরবানের মতো দেশের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যের হোটেল ও যাতায়াতের টিকিট বুকিং দিতে শুরু করেছেন আগ্রহীরা। আর এসব হোটেলে চলছে আকর্ষণীয় ঈদ অফার। দেশ ও বিদেশে ঈদের ছুটিতে এই দুই ধরনের পর্যটন ব্যবসা চাঙ্গা থাকে।

তবে এবার ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিমান টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা আগের তুলনায় কম। ভ্রমণপিপাসুরা এবার দেশেই ঘুরতে আগ্রহী। দেশের অভ্যন্তরে কমবেশি পাঁচ লাখ পর্যটক দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাবেন। এই তালিকায় পছন্দের ওপরের দিকে আছে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন। জানতে চাইলে টোয়াবের সাবেক সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, দেশের বাইরে যাওয়ার আগ্রহ কম থাকলেও দেশের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরির চাপ আছে। ঈদের পরদিন থেকেই পর্যটকদের হোটেল বুকিং, টিকিট কেনায় বেশি চাপ। কক্সবাজারে ঈদের পরদিন থেকেই পর্যটক যাওয়া শুরু করবে। তখন সব হোটেল-মোটেল ভরপুর থাকবে।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে সিলেটের হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, করোনাকালে আমরা যে ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম আশা করি, এ বছর সেটি থেকে ঘুরে দাঁড়াব। কেননা প্রকৃতিপ্রেমীরা বারবারই ছুটে আসেন সিলেটে। তবে ২০২০ সাল থেকে বিপর্যয়ের মুখে এ সিলেটের পর্যটন। দুই বছর করোনার থাবা কাটতে না কাটতে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের পথঘাট দুমড়েমুচড়ে যায়। ফলে এই শিল্পে নামে ধস।

এ বিষয়ে বেশ কজন ভ্রমণপিপাসুর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এবারের ঈদের ছুটি তো মোটামুটি বেড়ানোর সময় করে দেবে। ৫/৬ দিনের ছুটিতে ইচ্ছে করলে দেশের কয়েকটি এলাকায় বেড়ানো যাওয়ার মতো সুযোগ মিলবে। হাসনাহেনা নামের এক চাকরিজীবী জানান, তিনি প্রথমে চিন্তা করেছিলেন কক্সবাজার যাবেন। পরে ঠিক করলেন শ্রীমঙ্গল যাবেন। সেখানকার সবুজ নৈসর্গিক পরিবেশ তাকে বেশ টানে। এরই মধ্যে বুকিংও দিয়েছেন।

সানজিদা নামের একন গৃহবধূ বলেন, তিনি ঈদের পরদিনই ছুটে যাবেন কক্সাবাজার। সেভাবে বুকিংও দিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি সিলেট, শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জসহ ওই অঞ্চলের রিসোর্ট-হোটেলগুলো ঈদের ছুটিতে পর্যটন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

সিলেটের পাশাপাশি কক্সবাজারও রয়েছে ভ্রমণের শীর্ষে। এরই মধ্যে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকতের হাতছানিতে লাখো পর্যটক যেকোনো ছুটিতে ছুটে যান সৈকত নগরী কক্সবাজারে। বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে পাহাড়, লাল কাঁকড়ার বিচ, মেরিন ড্রাইভ ইত্যাদি। আর ভোজনরসিকদের জন্য আছে সামুদ্রিক খাবারের সমাহার। কক্সবাজারে সাড়ে পাঁচশ’ বেশি হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট আছে। এসব হোটেলে ধারণক্ষমতা দুই লাখের বেশি। এখন রোজার কারণে বেশির ভাগ হোটেল বন্ধ। ঈদের ছুটির সময়ের পর্যটক আকর্ষণে বেশ কিছু হোটেলে সংস্কারকাজ চলছে।

আটাব সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে পরে আকাশ পথের ভাড়া বেশি থাকলেও ভ্রমণপিপাসুরা সড়কের পরিবর্তে আকাশকেই বেছে নেবেন। ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও সময় ও যানজট এড়াতে আকাশ পথকেই বেছে নিয়েছেন।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর হোটেল রিসোর্টে মূল্যছাড় চলছে।

জানতে চাইলে বিআইএইচএ সভাপতি এইচ এম হাকিম আলী সম্প্রতি বলেন, এখন মনে হচ্ছে সবই ভালর দিকে যাচ্ছে। ক্রমশই পর্যটক বাড়ছে। স্থানীয় পর্যটকরা ঘুরতে বের হচ্ছেন। নতুন নতুন রিসোর্টও হচ্ছে। ফলে এক ধরনের চাঙ্গাভাব দেখছি। কিন্তু তারকা হোটেলগুলোর কোন উন্নতি হয়নি। দেশের যে সব পর্যটক এতদিন বিদেশে ঘুরতেন, তারা এখন স্থানীয় দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে বের হচ্ছেন। এটা আমাদের পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক দিক। তিনি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, আগামী তিন বছরের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার সুদমুক্ত ঋণ চাই। করোনা সংকট কেটে গেলে বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচার চালাতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আহ্বান জানাই।

এদিকে নিরাপদ ট্যুরিজমের বিষয়ে বাংলাদেশ টু্যুরিজম বোর্ড জানিয়েছে, পর্যটকদের নানা ধরনের সেবা প্রদানের জন্য করণীয় বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এতে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইন্স, ট্যুরিস্ট কোচসহ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত নানা পক্ষের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে যে সব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মানা ছাড়াও পর্যটকদের ভ্রমণে যাওয়ার আগে অনলাইনে বুকিং ও অর্থ পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। বড় দলে ভ্রমণের পরিবর্তে কম সদস্য ও পারিবারিক ভ্রমণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেবা গ্রহণের পূর্বে হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্থানীয় পরিবহন, গাইড, স্যুভেনির শপ ইত্যাদির কোভিড-১৯ বিষয়ে নিরাপত্তা বিধানের সক্ষমতা রয়েছে কিনা- তা যাচাই করে বুকিং দেওয়া, হোটেলে অবস্থানকালে অপরিচিত কারও প্রবেশ নিরুৎসাহিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।