রিসাইকেল পণ্যে উৎপাদিত কাপড়ের ব্র্যান্ড

১৫ মার্চ রি/ড্রেস তাদের পণ্য বাজারজাত করেছে বাংলাদেশের বাজারে। তাদের পণ্য পাওয়া যাবে ফ্রেন্ডশিপ কালারস অব দ্য চার্স ও ইয়োলোতে। বাংলাদেশে এটিই প্রথম ব্র্যান্ড যারা রিসাইকেল প্রডাক্ট দিয়ে তাদের কালেকশন সাজিয়েছে। এরপর আড়ংয়ের তেজগাঁও মাল্টি-ব্র্যান্ড আউটলেটের ভেতরে ‘তাগা’ শপ-ইন-শপে’ও রি/ড্রেসের পোশাকগুলো পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে এ পোশাকের কারিগররা।

এই কাপড়ে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন বুননে তৈরি। কাপড় উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিকের বোতল এবং সুতির বর্জ্য। রি/ড্রেসের প্রসঙ্গে টেক্সটাইল প্রযুক্তি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ, প্রতিষ্ঠানটির লাভ দায়িত্বশীল ফ্যাশন প্রচারেই ব্যয় করা হবে। আমরা এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তুলা রিসাইক্লিং কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমার কাপড় কই থেকে এসেছে, তা নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকি এবং পছন্দমতো কাপড় তৈরির ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীল হতে চাই।’

ফেলে দেওয়া বিভিন্ন পণ্য রিসাইকেল করে উন্নতমানের কাপড় তৈরির জন্য স্থানীয় রিসাইক্লিং কারখানা এবং তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে রি/ড্রেস। এ কাপড়ের শতভাগই ফাইবার। কিছু কাপড়ে ৫ শতাংশ বা তার কম নন-রিসাইকেল ফাইবার থাকলেও থাকতে পারে। আর ৪০ শতাংশ তুলা রিসাইকেল করা। এতে কিছু প্লাস্টিকের বোতল রিসাইকেল করে তৈরি পলিয়েস্টারও মেশানো হয় বলে জানান আয়োজকরা।

প্রতিষ্ঠানটির একজন শুভানুধ্যায়ী শিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিদি শেখ বলেন, ‘জলবায়ু মারাত্মকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। এ বিষয়টি খেয়াল রেখে সবারই পণ্যের পুনর্ব্যবহারকে সমর্থন করা উচিত। সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য উপযোগী তাদের কাপড়। তাই আমিও পছন্দ করি।’

এর আগে তাদের পণ্যগুলো ২০২২ থেকে লন্ডনে পাওয়া যায়। পাশাপাশি ঢাকায় পপ-আপ ইভেন্টের মাধ্যমে রিসাইকেল পণ্যে উৎপাদিত এসব কাপড় পাওয়া যেত বাংলাদেশে। ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ব্র্যান্ডটি এখন থেকে ফ্রেন্ডশিপ কালারস অব দ্য চরস এবং ইয়েলো গুলশান ফ্ল্যাগশিপ স্টোরে রি/ড্রেসের এসব পোশাক পাওয়া যাবে। ঘটবে আরও নতুন নতুন সংযোজন।