ভূমিহীন থাকছে না কিশোরগঞ্জের চার উপজেলায়

কিশোরগঞ্জের চারটি উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে মোট পাঁচটি উপজেলা ভূমিহীনমুক্ত হবে। বুধবার (২২ মার্চ) ভিডিও কনফারেসিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৩৯ হাজার ৩৬৩টি ঘর দুই শতাংশ জায়গাসহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে উপহার হিসেবে বিতরণ করবেন। তখন জেলার কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। এর আগে কটিয়াদী উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলার ১৩টি উপজেলার ১৯২০টি পরিবারকে এরই মধ্যে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বুধবার আরো ৩২৬টি গৃহহীন পরিবার ঘর উপহার পাবে।

তিনি জানান, চতুর্থ পর্যায়ে কিশোরগঞ্জ সদরে ১৭টি, করিমগঞ্জে ৫৩টি, নিকলীতে ২৬টি, অষ্টগ্রামে ৩৩টি, কুলিয়ারচরে ৫২টি, ভৈরবে ৪৩টি, বাজিতপুরে ৪৬টি, তাড়াইলে ৫৮টি, মিঠামইনে ৯২টি ও ইটনায় ১১০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই ৫৬৩টি ঘরের মধ্যে ৩২৬টি ঘরের কাজ শেষ হওয়ায় এগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলার করিমগঞ্জের সুবন্ধি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে ২২টি ঘর বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘরে এরই মধ্যে লোকজন উঠে গেছে। তারা জানালেন, তাদের থাকার কোনো জায়গা বা ঘর ছিল না। অন্যের জায়গায় থাকতেন। তাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই তারা চলে এসেছেন। ঘর পেয়ে তারা খুব খুশি হয়েছি। এখন তাদের একটি ঠিকানা হলো। যা সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল তাদের।

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাস কুমার বসু জানালেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯৭ জন গৃহ ও ভূমিহীনকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বুধবার আরো ৪১টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবন-জীবিকার উন্নয়নেও তারা কাজ করছেন। অভাবী পরিবারগুলোর চাহিদা ও আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।