কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৯৬ শতাংশ শেষ, ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে মেয়াদ

কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর সামগ্রিক নির্মাণকাজের ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, টানেল যখনই উদ্বোধন হবে তখনই তা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। টানেলটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম টানেল নির্মাণের গৌরব অর্জন করবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেকগুলো অক্সিলিয়ারি নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে টানেলের কাজ ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আমরা আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে এই টানেলের উল্লেখযোগ্য অংশের নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তারপরও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার জন্য বেশকিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ টানেল চালুর পূর্ব-প্রস্তুতি হিসেবে আমাদেরকে প্রি-কমিশনিং, কমিশনিং এবং বেশকিছু পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পাদন করতে হবে।

এগুলো শেষ হলে তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার সময় আসবে। এ মুহূর্তে চলছে স্পর্শকাতর সিকিউরিটি সেফটির কাজ। সেই সঙ্গে টানেলের দুই প্রান্তে ফায়ার স্টেশন, স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণসহ অনেকগুলো অক্সিলিয়ারি ওয়ার্ক চলছে এখন। এসব কাজ শেষ করার জন্য গত ১৭ জানুয়ারি একনেকের সভায় প্রকল্পের সময় আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আর এ মুহূর্তে বলা যায়, যখনই টানেল উদ্বোধন হবে তখনই টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য বহু আগেই পতেঙ্গা অংশ ও দক্ষিণাংশের সড়ক যোগাযোগের কাজ শেষ করা হয়েছে’।

এদিকে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন টানেলটি চালু হলে যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি বন্দরসহ নদীর দুই কূলের শিল্প-কারখানা আর অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।