টানা পাঁচ মাস কমল মূল্যস্ফীতি

দেশে মূল্যস্ফীতি কমার খবর দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সরকারি এই সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্য থেকে মূল্যস্ফীতি কমার এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদায়ি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করে ধীরে কমছে মূল্যস্ফীতি। তবে এই কমার হার অতি নগণ্য। নতুন বছরের শুরুর মাসেও মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৮.৫৭ শতাংশ। এর আগের মাস ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮.৭১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

সোমবার প্রকাশিত বিবিএসের হিসাব বলছে, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের ওপর বেশি। জানুয়ারিতে শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৩৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৮.৬৭ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ১০.১২ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭.৯২ শতাংশ। শহর এলাকায় জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৪১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে তা ৯.৪৮ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এখনো প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৯.৮৪। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৭৬ শতাংশ।

এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশে উঠেছিল। এরপর প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমেছে বলে বিবিএসের তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধীরে হলেও দেশের মূল্যস্ফীতি কমছে। এটি ভালো লক্ষণ। এর পাশাপাশি মজুরিও বাড়ছে। আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ভালো আছে। এর সঙ্গে অর্থনীতির সব সূচকে আমরা ভালো করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে কিছুটা, তার প্রভাব আগামী দিনে মূল্যস্ফীতিতে পড়তে পারে। তবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।