গোবিন্দগঞ্জে ১২০০ বিঘা পতিত জমিতে সরিষা চাষ

গোবিন্দগঞ্জের নরলি বিলের পতিত জমিতে প্রথমবারের মত সরিষার চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। বেশিরভাগ সময় পানি থাকায় এই বিলে শুধুমাত্র ইরি-বোরো ধান চাষ হতো প্রতিবছর। বাকি সময় পতিত থাকতো। এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে ইরি-বোরো চাষের আগে শুকিয়ে যাওয়া জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই বিল জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ভাল ফলনের পাশাপশি ভাল বাজারে দর পাওয়ার আশা কৃষকদের।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর, কোচাশহর ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জুড়ে অবস্থিত নরলি বিলের প্রায় ১ হাজার ২০০ একর জুড়ে নরলি বিলের অবস্থান। বছরের বেশিরভাগ সময় এ বিলে পানি থাকায় আমন চাষ করা সম্ভব হয় না, তাই এক ফসলি জমি হিসাবে শুধু বোরো আবাদের উপর নির্ভশীল ছিলো কৃষক।

তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রথম বারের মত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ১২শ’ বিঘা পতিত জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে কৃষকরা এবারই প্রথম সরিষার চাষ করেছেন। বিলের বেশিরভাগ জমিই সরিষার আবাদের আওতায় আসায় পুরো বিল যেনো হলুদ চাদরে ঢাকা পরেছে। বোরো চাষের আগে পতিত জমিতে বাড়তি ফসল করতে পারায় খুশি কৃষক।

কৃষক আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘অল্প খরচেই বেশ লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভাল ফলনের আশা করছি।’

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, ‘মধ্য অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরিষা বপনের মৌসুম। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নরলি বিলের পতিত জমি সরিষা চাষ আওতায় আনার লক্ষে এ বছর এ বিলের ১২০০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.২৫ মেট্রিক টন। কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন তারা। সরিষা আবাদে লাভবান হবেন কৃষক।’

উন্নতজাত সম্প্রসারণ, সার ও বীজ সহায়তার পাশাপাশি সরকার সরিষার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করলে আগামীতেও বিলের পতিত অন্য জমিতেও সরিষা চাষের আওতায় আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় চাষিরা।