গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এতে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
গত সোমবার ঢাকায় এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতাদের পাশাপাশি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের একটি প্রতিনিধিদলও অংশ নেয়।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটেছে। ’
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (সেপা)’ গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ সম্ভাব্য এই চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সরবরাহ সংযোগ সৃষ্টি করবে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, উন্নত যোগাযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো বাংলাদেশ ও ভারত—উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে। এটি উদ্ভূত অর্থনৈতিক অংশীদারির পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি অন্যান্য স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোলের ওপর চাপ কমানো এবং বিধি-নিষেধহীন বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।