মধুপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন : কুষকের মুখে হাসি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর আমন ধানের চারা রোপনের পর থেকেই হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অধিক ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে মধুপুরে ১২ হাজার ৫‘শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। সাধারণত ধান গাছে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, খাটসুর ঘাস ফড়িং ও পাতা ফড়িং আক্রমণ করে। পোকা খাদক পাখি জমিতে পুঁতে রাখা পার্চিংয়ে বসে এসব ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে এর মাধ্যমে অতি সহজেই ক্ষতিকর পোকা দমন করা সম্ভব হয় এবং নিরাপদ হয় ফসল। তাছাড়া ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমন হলে পাচিংয়ের সাথে পলিথিন এবং কলার ডাটা ধানের সারিতে রাখলে ভয়ে ইঁদুর পালিয়ে যায়।

উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা স্ব স্ব বøকে ভালো তদারকি করার ফলে চলতি বছর আমনের ফলন আরো ভালো হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। কদিমহাতীল গ্রামের কৃষক মো.আরশেদ আলীর জানান, এ বছর আমার জমিতে ভালো ধান হয়েছে। একই গ্রামের কৃষক লিপি জানান, আমাদের বøকের কৃষি অফিসার প্রতিটি ক্ষেতে একাধিক বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে দিয়েছেন,ফলে ক্ষতিকারক পোকা কম হয়েছে। আমার এক বিঘা জমিতে ব্রি ৮৭ জাতের ধান চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো পেয়েছি।

ধলপুর বøকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দেবনাথ জানান, এ বছর উপশী ব্রি ৮৭ চাষ এবং অনুকুল আবহাওয়া থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল জানান,বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এবার কৃষকদের আগাম সতর্ক করে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ইউনিট গুলোতে।

তিনি বলেন এ বছর এ পর্যন্ত কোনো রোগ বালাই দেখা যায়নি। ফলন ঘরে তুলার বাকী সময় প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এ বছর সম্ভাবনাময় আশানুরূপ ফলন হয়েছে। অপরদিকে ধানের দাম ভালো থাকায় উপজেলার কৃষকরাও খুশি।