মিয়ানমার সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কয়েক দশক ধরে ভুগছে বাংলাদেশ। উপরন্তু, ২০১৭ সালের আগস্টে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার পর চরম আকার ধারণ করেছে এ সমস্যা। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারতসহ বড় দেশগুলোর সবারই মিয়ানমারে ভূকৌশলগত স্বার্থ থাকায় রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে কোনো দেশই বাংলাদেশের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে না।
ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো বোঝাপড়া থাকলেও মিয়ানমারে তাদের স্বার্থ রয়েছে। তবে সংকট কাটাতে এ দুটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বজায় রেখেছে ঢাকা। এ কারণে দেশ দুটি তাদের স্বার্থ বজায় রেখেও বাংলাদেশকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই বুঝতে পেরেছিলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে। এ কারণে ২০১০ বা ২০১১ সালে তিনি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার নির্দেশ দেন। তখন নানাবিধ উদ্যোগের মধ্যে একটি ছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া এবং দেশটির সব জেনারেলসহ উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের ঢাকার মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই সময়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের এমন ধরনের প্রশিক্ষণবিষয়ক কোনো চুক্তি ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের ফলে বিশেষ কায়দায় মিয়ানমারকে এ সুযোগ দেওয়া হয়। তারা যতদিন ঢাকায় প্রশিক্ষণ নেন ততদিন তাদের থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয় এবং মাস শেষে মিয়ানমারের সেনাদের ১০-১৫ হাজার টাকা হাতখরচ হিসেবেও দেওয়া হয়। বর্তমানে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংও ২০১৪ সালে এমন প্রশিক্ষণে ঢাকায় আসার কথা ছিল।
কিন্তু ওই সময় রাখাইনে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ ইস্যুতে সমালোচনা শুরু হলে জেনারেল মিন অং হ্লাইং আর ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিতে আসেননি। এভাবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন কায়দায় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন ধরনের সফর, বাণিজ্যসহ একাধিক সম্পর্ক বজায় রাখে। এর পর ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সীমান্তে ঢল নামলে দুপক্ষের সম্পর্কে আবারও নেতিবাচক প্রভাব আসে। ওই সময়ও বাংলাদেশ বিভিন্ন চ্যানেলে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সংকট সমাধানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বজায় রাখে। তখন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান মিয়ানমার সফর করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে ত্রাণ পাঠানো হয়। কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা নেয়। এর ফলে নিউইয়র্কে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেন। এর পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসলে দেশটির সঙ্গে একাধিক চ্যানেলের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন আবারও চীনের সহযোগিতা নেয় বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয় এবং উভয় পক্ষ স্বল্পপরিসরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মিয়ানমারে ভারত ও চীনের স্বার্থ রয়েছে এবং সেখানে তাদের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। এ কারণে দেশ দুটি তাদের স্বার্থরক্ষায় এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সক্রিয় সহযোগিতা করছে না। তার পরও কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে চীন এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে কিছুটা সহযোগিতা করছে। চীন রাখাইনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে এরই মধ্যে সাত বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে। রোড অ্যান্ড বেল্ট উদ্যোগের মাধ্যমে চীন রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। মিয়ানমারে চীনের ৭৯৩ কিলোমিটারের গ্যাস ও ৭১১ কিলোমিটারের তেল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প চলমান, যা রাখাইনের সমুদ্রবন্দর থেকে চীনের ইউনান প্রদেশকে যুক্ত করবে। এ ছাড়া ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চীন মিয়ানমারের একাধিক প্রকল্পে কমবেশি ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে চীন একাধিক প্রকল্পে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা বলেছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি ডলার।’
নয়াদিল্লিভিত্তিক অবজারভার রিসার্স ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রোড অ্যান্ড বেল্ট উদ্যোগের মাধ্যমে মিয়ানমারে সাতটি প্রকল্পে কমবেশি সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে মি লিং জায়েঙ এলএনজি প্রকল্পে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, কায়ফু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (কেপিএসইজেড) উন্নয়নে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, নিউ ইয়াঙ্গুন সিটি প্রকল্পে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, কানপিকেতি সিবিইসিজেড প্রকল্পে ২২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, কায়ফু পাওয়ার প্লান্টে ১৮০ মিলিয়ন ডলার, কায়ফু গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া চিনশিওয়া সিবিইসিজেড প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান; কিন্তু সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং চীনের সঙ্গে তাদের বৈশ্বিক ইস্যুতে দিল্লির কাছে মিয়ানমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ভারত মিয়ানমারে একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে এবং সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে দেশটিকে একটি কিলো ক্লাস সাবমেরিন উপহার দিয়েছে। অবশ্য এ ঘটনার পর চীনও মিয়ানমারকে টাইপ-০৩৫জি মিং ক্লাসের একটি সাবমেরিন উপহার দিয়েছে। সর্বশেষ এই অক্টোবরে চীন মিয়ানমারের কাছে এফটিসি-২০০জি যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছে।’
বিদেশি বিনিয়োগের তালিকায় ভারত মিয়ানমারে ১১তম বিনিয়োগকারী দেশ। চীন মিয়ানমারের রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন করায় ভারতও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইনের সিটওয়ে বা সিত্তি বন্দর প্রকল্প উন্নয়ন করছে। এ প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪৮৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে রাখাইনের সিটওয়ে সংযুক্ত হবে। ভারতের এ প্রকল্পটি ‘কালাদান’ প্রকল্প নামে বেশি পরিচিত, যা ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে সহজ হবে। এ ছাড়া ভারতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ৭৬৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে মিয়ানমারে। ‘কালাদান’ প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমারে রেল যোগাযোগ, সিটওয়ে বিশেষ শিল্পাঞ্চল, সিটওয়ে-গয়া গ্যাস পাইপলাইন, চুং জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় সড়ক পরিবহন ছাড়াও ভারত-মিয়ানমার-জোকাথার-রি হাইওয়ে, প্লাটওয়া-চিক্কা-ভারত হাইওয়ে প্রকল্প, আইজল-থুইপাং ন্যাশনাল হাইওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারত।
অন্যদিকে ভারত ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ শুরু করে। গত ২৬ বছর ভারত বাংলাদেশে ৬৫২ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) তালিকায় ভারতের অবস্থান ১০তম। গত মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে ব্যাংকিং খাতে ২০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, বিদ্যুৎ খাতে ১৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, টেক্সটাইল খাতে ১৫ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সর্বশেষ নয়াদিল্লি সফরে ভারত রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতা করার জন্য অঙ্গীকার করেছে এবং দুপক্ষের যৌথ বিবরণীতে তা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইতিবাচক।’ অন্যদিকে, রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে চীন জাতিসংঘে ভেটো দিলেও ঢাকার কূটনৈতিক তৎপরতায় চীন বাংলাদেশের সমস্যা বুঝতে পেরেছে। এ কারণে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে করা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায় নিরাপত্তা পরিষদে উঠলে তাতে ভেটো দেবে না চীন।’ এর পর গত নভেম্বরে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশন উত্থাপন করলে তাতে কোনো বাধা দেয়নি চীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমীন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভূ-রাজনীতিতে প্রতিটি দেশই তার নিজস্ব স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। তার পরও আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমানে বাংলাদেশসংলগ্ন সীমান্তে মিয়ানমারের আপত্তিজনক কর্মকাণ্ড থামাতে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের দূত বেইজিংয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। আমরা মনে করি, ভারত ও চীনের জন্য বাংলাদেশও যে গুরুত্বপূর্ণ তা দেশ দুটি বারবারই প্রমাণ করেছে।’ কিন্তু যখনই মিয়ানমার প্রসঙ্গ আসে তখন মিয়ানমারের সঙ্গে চীন-ভারত তাদের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নেয়। তবে এ সময়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, ভারত-চীন বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে মিয়ানমারের স্বার্থ দেখলে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না, আবার সম্পূর্ণভাবে এ দুটি দেশ মিয়ানমারকে পরিহারও করতে পারবে না। প্রকৃত অর্থে দেরিতে হলেও ভারত-চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ভারত-চীন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাষ্ট্র থাকলেও তারা কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘চীন আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। কেননা বেইজিং ঢাকার পক্ষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। এ ইস্যুতে বিশ্বের অনেক দেশ অনেক কথা বললেও সংকট সমাধানে কিন্তু চীনই এগিয়ে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।’
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুক হক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভূ-রাজনীতির হিসাবে রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে চীন-ভারত আমাদের যে সহযোগিতা করছে তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি বলব, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক পর্যায়ে যোগাযোগ ছিল, যা গত ২০১৭ সালের পর থমকে গেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি দেখি না। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, এ সংকটটা খুবই জটিল। সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।’