শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য এক বাংলাদেশ

হাজার বছর আগে বাংলার এমন চিত্র ছিল যে সেখান থেকে আজকে আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যে শ্রীলঙ্কার মতো একটি দেশকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারছি। আমরা জাতি হিসেবে যে উচ্চতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি সেটা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সামাজিক বলেন, অর্থনৈতিক বলেন, সব জায়গায় তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে এবং এই উন্নয়ন আজকে দৃশ্যমান বলেই আজকে আমরা স্বনির্ভর জাতীতে রূপান্তরিত হয়েছি।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, হাজার বছর আগে বাংলার এমন চিত্র ছিল যে সেখান থেকে আজকে আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যে শ্রীলঙ্কার মতো একটি দেশকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারছি। আমরা জাতি হিসেবে যে উচ্চতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি সেটা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তার শাসনামলে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে মনে রাখবার মতো। এটা আমাদের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে মাইলফলক করে রাখবে আমাদের ইতিহাসে। আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বিমানে করে যারা যেতো তারা এই দেশটিকে দেখে বলতো, এখানে শুধু গরিবরাই বাস করে, কিন্তু এই কথাটি বলবার আর কেউ নেই এখন। আমরা এখন অন্য উচ্চতায় চলে গিয়েছি। শেখ হাসিনার সৎ, বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী দশ নারী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছেন। এমন নেতৃত্বের কারণেই মহাকাশে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগতভাবে তার অগ্রসরতা জানান দিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ হাসিনা এক সাহসী রাজনীতিকের নাম; যার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকের বাংলাদেশের চিত্র আর মাত্র এক দশক আগের বাংলাদেশের চিত্রের ভিন্নতা অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে উন্নয়ন ও অর্জনের পাল্লা ভারী। কৃষি, শিক্ষা, কূটনীতি, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ঘটেছে সরব বিপ্লব। কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জন,২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ বাস্তবায়নের আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বাস করে যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সর্বোপরি বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ সহ বহু সাহসী ও দূরদর্শী উদ্যোগে শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশই না, বিশ্বের কাছেও অনুকরণীয় নেতৃত্ব। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর, শ্রেষ্ঠ ভরসা। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সামাজিক বলেন, অর্থনৈতিক বলেন, সব জায়গায় তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে এবং এই উন্নয়ন আজকে দৃশ্যমান বলেই আজকে আমরা স্বনির্ভর জাতীতে রূপান্তরিত হয়েছি।