যানবাহন নজরদারিতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বসছে আইটিএস

দ্রুত গতির কারণে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমেত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যানবাহন নজরদারির জন্য এ এক্সপ্রেসওয়েতে বসছে ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)। `ইম্প্রুভিং দ্য রিলাইঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড সেফটি অন ন্যাশনাল হাইওয়ে করিডোর অব বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রোডাকশন আইটিএ‘ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোরিয়ার অনুদান ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই, উন্নত সড়ক পরিবহন অবকাঠামো ও অপারেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইটিএস মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হবে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন ও পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৪০ কি.মি. সড়কে আইটিএস বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটি আগামী মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ ও গতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান যানবাহন নজরদারির আওতায় আনা ও সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আইটিএস জরুরি।

আইটিএসের মাধ্যমে সড়ক নেটওয়ার্ককে একক নজরদারি ব্যবস্থার আওতায় আনার মাধ্যমে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ, গতি ও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সময়-জ্বালানি সাশ্রয়ী, যানজট ও দূষণমুক্ত, সর্বোপরি দুর্ঘটনামুক্ত দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি সড়ক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। অবকাঠামো ও সড়ক ব্যবস্থায় আইটিএস প্রযুক্তির সঙ্গে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে।