শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ

‘শিক্ষাই সব শক্তির মূল’- ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকনের এই বাণীটি চার শ’ বছরের পুরনো। প্রবাদ বাক্যটি শত শত বছর পরেও সমান প্রাসঙ্গিক, একই মূল্য বহন করে। শিক্ষা ব্যতীত কোন ধরনের অগ্রগতি কল্পনাও করা যায় না। শিক্ষাকে আখ্যায়িত করা হয় একটি জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে। বাংলাদেশে যে ৫টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করেছে। গ্রহণ করেছে নানা কার্যকরী পদক্ষেপ।

ফলশ্রুতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বে আমাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। আফ্রিকাসহ অনগ্রসর দেশগুলো যখন শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্তরেই সেই সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ছাত্রদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে ক্রমাগত। শিক্ষায় দৃশ্যমান সাফল্য বাংলাদেশ সরকারের একটি বড় অর্জন। এই অনন্য অর্জন এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা।

বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১। বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’। শিক্ষায় সরকারের আরও একটি অন্যতম সাফল্য জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করা।

প্রতিবছর কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে, যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি স্কুল-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পৌঁছে যাচ্ছে। পালিত হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস। আগে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো। ২-৩ মাসের আগে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হতো না। এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বহুলাংশে। বাড়ছে উপস্থিতি। ঝরে পড়ার হার কমে গেছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ অনলাইনে ঘরে বসেই সম্ভব হচ্ছে। ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষা ফি, পরীক্ষার ফল হয়ে যাচ্ছে অনলাইনে। এতে জনগণের আর্থিক অপচয় ও ভোগান্তি কমেছে। ২০১০ থেকে ২০১৯ এই ১০ বছরে ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই বিতরণ করেছে সরকার। এই বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে এবার ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিয়েছে।

উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিনির্ভর কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তবে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পরে বর্তমান সরকার এমন সব ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ এখন চ্যালেঞ্জিং বিশ্বের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোন মানুষ আজ না খেয়ে মরছে না। অযতœ-অবহেলায় কারও মৃত্যু হচ্ছে না। ইচ্ছা করলেই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের অনেক শিক্ষিত তরুণ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁরই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে সর্বদা সচেষ্ট ও আন্তরিক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুত, কৃষি এবং অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

যোগাযোগ এবং বিদ্যুতের উন্নয়নের ফলে গ্রামেই এখন আধুনিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ার ফলে গ্রামে বসেই যে কোন শিক্ষার্থী সবসময় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে নিজের পড়াশোনা তথা উচ্চশিক্ষার বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে পারছে। তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে এ বিষয়ে পারদর্শী তরুণ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে বাধ্যতামূলকভাবে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়কে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কয়েক বছর আগেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার সম্পর্কে জানত না। এখন প্রায় প্রতিটি স্কুলে রয়েছে কম্পিউটার। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের ২৩ হাজার ৩০০টি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া উপকরণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ নতুন বিষয় হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

উচ্চশিক্ষা প্রসারে প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশে ৫০টি সরকারী ও শতাধিক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সবার জন্য সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে একসঙ্গে ৩০ হাজার প্রাথমিক স্কুল সরকারীকরণ করা হয়েছে। মানসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারীকরণ করেছে সরকার।

বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেলে বেতন প্রদান ছাড়াও বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হচ্ছে। এ সবই বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের অবদান।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। শিক্ষার অগ্রগতি ও প্রসারের কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান ও গতিশীল হচ্ছে। ভিত্তি যদি শিক্ষা হয়, তাহলে উন্নয়নের সড়কে সাফল্য আসাটাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগের চিত্র কিন্তু এ রকম ছিল না।

তিনি যখন রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন তথা জনগণ যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন যে অবস্থা ছিল, সে অবস্থা অতিক্রম করে দেশ আজ স্বাবলম্বী, তথা উন্নয়নের মিছিলে শামিল। সরকার শিক্ষাকে ভিত্তি হিসেবে নিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন। জনগণও বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার তার শাসনকালে শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে। আজ থেকে ৯ বছর আগে প্রাথমিকে শতকরা ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির রেকর্ড ছিল।

এখন দেখা যাচ্ছে বর্তমানে প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের কারণেই দেশ উত্তরোত্তর সাফল্য ও সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রাথমিকের সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষায়ও সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আলোর মুখ দেখেছে।

শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে সরকার আধুনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুরো ব্যবস্থাটিকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সহজ ও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি স্কুলে আইসিটি ল্যাব চালু হচ্ছে। কম্পিউটার কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে ছেলেমেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রয়াসে স্কুলভিত্তিক আইসিটি মেলা ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে বিকাশমান করার লক্ষ্যে স্কুলভিত্তিক প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাদ্রাসা কাঠামোতে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শাখা চালু করা হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম। গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্বারোপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রহণীয় উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর সেশন জটের নজির প্রায় দেখা যায় না। মসৃণ গতিতে চলছে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন সেশনজট নেই বললেই চলে। নিয়মিত ভর্তি পরীক্ষা, ক্লাস, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে সফলতা দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সাফল্য অনেকে দেশের কাছে ঈর্ষণীয়। উন্নত দেশের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা।

শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিপ্লবের প্রতিরূপ। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সফলতার যে প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও তা বলবত থাকবে বলেই আশা করা যায়। ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আকাক্সক্ষায় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রযাত্রায় জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অগ্রগণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আনন্দনিকেতন, সেই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। তাই জোর দিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের আসল কারিগর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে অবৈধ সামরিক জান্তা সরকার এবং তার ভূমিষ্ঠ দল যেভাবে অগ্রগতির ধারাকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, সব ভেঙে চুরমার করেছিল, সেই ভঙ্গস্তূপের ওপর থেকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ রোলমডেল হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে দাঁড় করিয়েছেন।

 

লেখক : কোষাধ্যক্ষ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়;

সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়