হালাল মাংস রপ্তানিতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকার ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবার মাংসজাতীয় পণ্য রপ্তানির বিপরীতেও নগদ সহায়তা দেবে সরকার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে নগদ সহায়তা পাবে এমন তালিকায় এবার মাংস থেকে উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত পণ্য যুক্ত হলো। এ খাতে রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা পাবেন উদ্যোক্তারা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ ‘রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা’ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
নির্দেশনাটি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে সব অনুমোদিত (এডি) ব্যাংক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে বস্ত্রখাতের পাঁচটি উপখাতসহ ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা পাবে। গত অর্থবছরের মতো এবারও ১ শতাংশ হতে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে।
চলতি অর্থবছরে ১০০ শতাংশ হালাল মাংসের সঙ্গে ১০০ শতাংশ হালাল উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংসজাত পণ্য ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। সফটওয়্যার ও আইটএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ব্যক্তি পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সারেরা ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন। তবে বস্ত্রখাতে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা প্রযোজ্য হবে না। গত বছরের মতো চলতি অর্থবছরেও বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট পণ্যখাতে নগদ সহায়তা প্রয়োজ্য থাকছে।
ঘোষিত নগদ সহায়তা রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করবে বলে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
নগদ সহায়তা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।