নিউজ ডেস্ক: চা শ্রমিকরাও এদেশের নাগরিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদেরও আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তারা এদেশের নাগরিক। এদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকেল ৪টায় ভিডিও কনফারেন্স শুরু হওয়ার কথা থাকলে বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শ্রমিক এবং এই চা শিল্প নিয়ে কাজ করে গেছেন। দেশে চা নিয়ে কোনো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল না বঙ্গবন্ধু শ্রীমঙ্গলে দেশের একমাত্র চা গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠন করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারও আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নেও আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চা শিল্প আমাদের দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। চা বাগান দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এই চা শিল্প আমাদের অর্থখাতের জন্যও ভীষণ দরকারি। তাই এই চা শিল্প যেন ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে আমি আমার সব চা শ্রমিক ভাইদের অনুরোধ জানাবো।
প্রসঙ্গত, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর গত ২৮ আগস্ট চা-বাগানে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তার আগে ২৭ আগস্ট রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন।