পাটের ভালো দামে খুশি জয়পুরহাটের কৃষক

পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার খুশি জয়পুরহাটের পাট চাষিরা। পুকুর ও ডোবায় জাগ দেয়া পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। যদিও এবার পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন জেলার কৃষক।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ২০২১-২২ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। এতে প্রায় ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সরকারের পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাট কাঠিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগ হাতে-কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে।

২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে দেশিজাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর। এতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার বেল। গত বছর পাট প্রতিমণ বিক্রি হয়েছিল প্রকার ভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এবার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। যার ফলে এবার বাজারে ওঠা পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত বলে জানান পাট ব্যবসায়ী দীলিপ সেন ও সুশিল চন্দ্র মন্ডল। মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি, পাটের নানাবিধ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া ও পাটের ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২১-২২ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও যেখানে পানি রয়েছে সেখানে পর্যায়ক্রমে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।