পাহাড়ে থোকায় থোকায় ঝুলছে কফি

পাবর্ত্য খাগড়াছড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ শুরু হয়েছে। আর এতে সফলতা পেয়েছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। কৃষকদের কফি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি ঢালু জমিতে লাগানো গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কফি ফল। দেখতে অনেকটা জামের মতো। এই ফল থেকেই তৈরি হয় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় উষ্ণ পানীয় কফি। বাংলাদেশেও চায়ের পরই কফির অবস্থান।

২০০১ সালে কেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলকভাবে কফির চাষাবাদ শুরু হয়। বর্তমানে এই কেন্দ্রের প্রায় সাড়ে ৪০০ গাছের শাখায় শাখায় শোভা পাচ্ছে লালচে রঙিন কফি ফল। কেন্দ্রটিতে রোপণের ৪-৫ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। অ্যারাবিয়ান জাতের এ কফি অত্যন্ত সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং বাজারের কফির তুলনায় অধিক মানসম্পন্ন।

চাষিরা জানান, পার্বত্য অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযুক্ত। বাজারে যে কফি পাওয়া যায়, তার থেকে এই কফির স্বাদ অনেক ভালো এবং মানসম্মত।

মাঠপর্যায়ে কফি প্রদর্শনে প্লটে কফি চাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে উৎপাদিত কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ সহজ বিপণন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কৃষদের ধারণা দিতে কাজ করছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও হর্টিকালচার সেন্টার।

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সী আব্দুর রাশীদ বলেন, কৃষক যখন ফল সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করবে, সেখানে কিছু জ্ঞানের অভাব আছে। সেখানে আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে জেলার ১০৫টি কৃষি প্রদর্শনীতে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ হচ্ছে।