গৌরবের পদ্মাসেতুতে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে সেতুর জাজিরা প্রান্তে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এর আগে, রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে।
তিনি আরো বলেছিলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।
পদ্মাসেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে একইদিনে রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে আছে।
পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ রেলওয়ের।
ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজ ৬২% শেষ হয়েছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮১%। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ হয়েছে ৫২%।