কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় দীর্ঘ তিনমাস ১৭ দিন পর এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে আবারো মাছ ধরা শুরু হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে পুরোদমে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ। বুধবার মধ্যরাত থেকে আবারো মাছ ধরা শুরু হওয়ায় খুশি মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।

রাঙ্গামাটির মৎস্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আশা করছি এবার হ্রদে আগের তুলনায় আরো অনেক বেশি মাছ ধরতে পারবো।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় আবারো পুরোদমে হ্রদে মাধ ধরা শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, এবার হ্রদের পানি কম থাকায় মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে হ্রদের পানি বাড়ায় সার্বিক দিক বিবেচনা করে এখন হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তিনি নিয়ম মেনে হ্রদে মাছ ধরার জন্য মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের প্রতি আহবান জানান।

রাঙ্গামাটি বিএফডিসির তথ্যমতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদে ১৭ হাজার ৮৭০ টন মাছ ধরা হয় এবং সেখানে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এবার ২০২২ সালে কাপ্তাই হ্রদে ৬৪ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এবার প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণের মাধ্যমে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষসহ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।

১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দেয়া হয়। এতে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন প্রায় ২৫ হাজার জেলে পরিবার।