দুর্যোগ কাটিয়ে ফের জেলেদের সমুদ্রযাত্রা

আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। দুর্যোগ কাটিয়ে আবার সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাগেরহাটের শরণখোলার জেলেরা। শুক্রবার অর্ধশতাধিক ট্রলার উপজেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও বরফ কলের ঘাটগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। ট্র্রলারে তোলা হচ্ছে বরফ, জ্বালানি, সরদসামগ্রী।

রাতেই ছেড়ে যাবে ট্রলারগুলো।
এ ছাড়া দুর্যোগের সময় সুন্দরবনে দুবলার চর, ভেদাখালী ও কচিখালী খালে আশ্রয় নিয়েছিল শরণখোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকার কয়েক শ ট্রলার। সেগুলোও বৃহস্পতিবার রাতে সাগরে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলে-মহাজনরা।

শরণখোলা মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, একেকটি ট্রলারে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ করে সাগরে যায়। কিন্তু জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্যোগ শুরু হয়। এ কারণে শুন্য হাতেই কূলে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে এই ট্রিপে ভালো মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুর্যোগে তাদের চালান শেষ হয়ে গেছে। অনেকেরই এবার ধারদেনা করে তাদের ট্রলার সাগরে পাঠাতে হচ্ছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, তিন শতাধিক সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলারের মধ্যে পুঁজির অভাবে শতাধিক ট্রলার এবার সাগরে যেতে পারেনি। যেগুলো গেছে সেগুলোও আবার দুর্যোগে পড়ে ফিরে আসে। এতে প্রত্যেক ট্রলার মালিক লোকসানে পড়েছেন।

আবুল হোসেন বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নেওয়া ট্রলারগুলো সাগরে ফিরে জাল ফেলতে শুরু করেছে। শরণখোলায় ফিরে আসা ট্রলারগুলো যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও অনেক ট্রলার যেতে পারবে না। পাশপাশি বরফের দামও বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলে-মহাজনরা মারাত্মক সংকটে পড়েছেন।