বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় এ বছর চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। হেনলি পাসপোর্ট সূচকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১০৪তম। ২০২১ সালে এ অবস্থান ছিল ১০৮। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে অগ্রিম ভিসা ছাড়াই বা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করা যাবে ৪১টি দেশ। গত বছর অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যেত ৪০টি দেশের। এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে আছে আরও কসোভো এবং লিবিয়া।
গতবারের মতো এবারও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপানের। ওই দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে গোটা বিশ্বেই অর্থাৎ ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায়। এর পরেই রয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। ওই দুটি দেশের পাসপোর্ট ব্যবহারকারীরা অন অ্যারাইভাল ভিসা পান ১৯২টি দেশের। তালিকায় তৃতীয় স্থান জার্মানি ও স্পেনের। দেশগুলোর পাসপোর্ট ব্যবহার করে ১৯০টি দেশ অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করা যায়।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের অবস্থান সপ্তম। একই অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৬টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী। ব্রিটিশ পাসপোর্টের অবস্থান ছয়ে। একই অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল। এসব পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায় ১৮৭টি দেশ।
তালিকায় রাশিয়ার পাসপোর্টে অবস্থান ৫০তম। ইউক্রেনের অবস্থান ৩৫তম। শক্তিশালী পাসপোর্টের এ তালিকায় অর্থনৈতিক জায়ান্ট চীনের অবস্থান ৬৯ এবং ভারতের অবস্থান ৮৭তম। বাংলাদেশের প্রতিবেশী পাকিস্তান ১০৯ এবং নেপালের ১০৬ অবস্থান নিচে হলেও আরেক প্রতিবেশী শ্রীলংকার অবস্থান এক ধাপ উপরে ১০৩। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় সবচেয়ে নিচের অবস্থান আফগানিস্তানের ১১২।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স তৈরি করা হয়।